“ প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা, কবিতা তোমায় দিলাম আজিকে ছুটি “
“ ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি “
মূলভাবঃ বাস্তবতা বড়ই নির্মম। কবির কবিতাকেও যা দমিয়ে দেয়। ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্যই মানুষের এ প্রাণপণ চেষ্টা।
ভাবসম্প্রসারণঃ কাব্য চর্চায় জীবনে জীবন যোগ করা না হলে কৃত্রিম পণ্যে ব্যর্থ হয় গানের পসরা। গণজীবনের সাথে সংযোগ সংরক্ষণে কাব্য চর্চায় প্রচলিত উপমা-রূপক বদলে যায়। কবির কর্মে স্নিগ্ধতা, নমনীয়তা কোমলতাই আমরা সাধারণত প্রত্যাশা করে থাকি। কিন্তু জীবন বড় কঠিন, এখানে জীবন সংগ্রামে লালিত্য, নমনীয়তা, স্নিগ্ধতার অবকাশ বড় সীমাবদ্ধ, বড় খন্ডিত। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী আর কাব্যময় নয়, তা গদ্যময়। সেখানে পূর্ণিমার চাঁদ মনের কোণে লালিত্য স্নিগ্ধতা-নমনীয়তার উন্মেষ ঘটায় না, বরং জীবন আর জীবিকার ক্ষেত্রে যা অপরিহার্য, তার কথাই মনে করিয়ে দেয়, চাঁদকে তখন মনে হয় ঝলসানো রুটি। সে রুটি শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্ত করবে।
মন্তব্যঃ অভাব এমন একটি ভয়ঙ্কর জিনিস যা কবর দেয় প্রতিভার। জীবনকে দাঁড় করায় চরম বাস্তবতার সামনে।