সাহিত্য জাতির দর্পণ স্বরূপ ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ সাহিত্য জাতির কথা বলে। জাতির সুখ-দুঃখ, ধ্যান-ধারণা আর ভবিষ্যত করণীয় তথা সবকিছুই সাহিত্যের ভেতরে লুকিয়ে আছে।
ভাবসম্প্রসারণঃ কোনো জাতির ধ্যান-ধারণা ও চিন্তাভাবনা তার সাহিত্যে প্রতিফলিত হয়। প্রত্যেক জাতির মধ্যে যেমন কবি, সাহিত্যিক, ভাবুক, চিন্তাবিদ ও দার্শনিকের আবির্ভাব ঘটে, তাঁরা তাঁদের জাতির প্রতিনিধি হিসেবে জাতির আশা আকাঙ্কা সাহিত্যে রূপায়িত করেন। সেজন্য দেখা যায় সাহিত্যে জাতির চিন্তাধারা ও বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে। জাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সাহিত্যের বিষয়বস্তু হিসেবে গৃহীত হয়। কোনো জাতিকে জানতে হলে সে জাতির সাহিত্যের পরিচয় লাভ করতে হয়। আমাদের সাহিত্যের মধ্যেও আমাদের জাতীয় জীবনের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে। বাঙালি জাতির চিন্তাধারার রূপায়ণই বাংলা সাহিত্যে লক্ষ করা যায়। সাহিত্য জাতির অগ্রগতির ইতিহাস। যে জাতি যত বেশি উন্নত তার সাহিত্যও তত বেশি উন্নত। জাতির জীবনের বৈশিষ্ট্য সাহিত্যে প্রতিফলিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাহিত্য জাতির দর্পন বলে অভিহিত হয়ে থাকে।
মন্তব্যঃ সাহিত্যকে কবি কিংবা লেখকের রচনা ভেবে হালকাভাবে নেওয়ার অবকাশ নেই। মনে রাখতে হবে জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাসের ধারক হলো সাহিত্য।