বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ সৌন্দর্য প্রকৃতির এক দুর্লব উপাদান । এ সৌন্দর্য কোথায় বৈশিষ্টতা অর্জন করতে সক্ষম, তা প্রকৃতিই নির্ধারণ করে দেয় । এর ব্যতিক্রম ঘটলে সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ মাতৃকোলে শিশুকে যেমন সুন্দন লাগে অন্য কারো কোলে শিশুকে তেমন সুন্দর মানায় না । এজন্য অনেক বড় বড় শিল্পী মা ও শিশুর ছবি একেঁছেন সেখানে শিশুকে মাতৃকোড়েই দেখানো হয়েছে। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং পাবলো পিকাসো ছাড়াও আরো অনেক ক্লাসিক্যাল ও আধুনিক শিল্পীরা শিশুকে মাতৃকোড়েই স্থান দিয়েছেন । পক্ষান্তরে বন্য প্রাণীদেরকে বনে যেমন সুন্দর দেখায় , লোকালয়ে তাদের সৌন্দর্য তত বিকশিত হয় না । কাজেই প্রাকৃতিক নিয়মে যে যেখানে মানানসই, তাকে সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিত । তাই প্রবাদ রয়েছে “যার যেখানে স্থান, তাকে সেখানেই থাকতে দাও” কেননা যে যেখানে, যে পরিবেশে প্রতিপালিত হয়, তাকে সেখানেই সুন্দর মানায়।
যে যে পরিবেশে বড় হয়েছে সে হঠাৎ কোরে অন্য পরিবেশে সহজে মানাতে যেমন অসুবিধা হয় তেমনি সে অন্যে এক পরিবেশ কে সহজে আপন করতে পারে না বল্যেই চলে । প্রত্যেক মানুষের নিজ্ব চিন্তা চেতনা ধারা পরিচালিত হয় । যে মানুষ ছোট কালে যেমন পরিবেশে বড় হয়েছে সে হঠাৎ করে অন্য জায়গায় বা অন্য পরিবেশে নিজেকে বেশি দিন মানাতে বা চলতে পারে না । সে মানুষটি নানা ধরনের মানসিক চাপে পড়ে যায় পরবর্তীতে সে ওই খানে ওই পরিবেশে বেশি দিন যেমন থাকতে পারে না ঠিক তেমনি আমাদের ও উচিত সেই মানুষটি বেশি দিন সেখানে না রেখে তার মানানসই জায়গায় তাকে ছেড়ে দেওয়া অথবা তার মন মত স্থান তাকে উপযুক্ত থাকার ব্যবস্তা করে দেওয়া কারন যে যেখানটায় সস্থ্যি বোধ করে তাকে সেখানটাই থাকতে দেওয়া ।
ঠিক তেমনি প্রাণিদের ক্ষেত্রও তাই প্রাণিদের কে বনে যেমন মানায় তেমনি কোন খাচাঁতে আটকে রেখে তার সৌন্দর্য পুরো পুরি বিকাশ ঘটায় না।
মন্তব্যঃ পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী ও বস্তূর জন্যে একটা নিদির্ষ্ট স্থান রয়েছে । যেই নিদির্ষ্ট স্থান পরিবেশে সে প্রতিপালিত হয়, তাকে সেখানেই সুন্দর মানায়।