প্রেমের গল্প : এখানে প্রেমের গল্প প্রেমের অনুভতি-2 এর দ্বিতীয় অধ্যায় ও শেষ পর্ব টি দেওয়া হল। এটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, তাই এখানে এই প্রেমের গল্প টি শেয়ার করলাম। আরো পড়ুন>>> Bangla love story
প্রেমের গল্প – প্রেমের অনুভতি-2
প্রেমের গল্প – প্রেমের অনুভতি-2
’’’হয়তো ভাবছেন রিয়া এই ভাবে হাসতে পারলো। তার মানে রিয়া আমাকে ছাড়া সহজেই থাকতে পারবে । রিয়া অতটা শক্ত মনের মেয়ে ছিল । তাহলে রিয়া ভাল ছিল কিভাবে । তাহলে বলি শুনুন রিয়া যাওয়ার সময় কিভাবে যেনো আমার মোবাইল নাম্বার টা আর আমার বাসার ঠিকানা কে বা কাহার কাছ থেকে নিল তা আমি জানি না।
রিয়া চলে গেল। গাড়িতে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে আমাকে টাটা দিয়ে একটা মুসকি হেসে চলে গেল । আমি মনে মনে ভাবলাম এইটা তুমি করতে পারলা রিয়া। নিষ্টুর আচরণ দেখাতে পারলে । যাই হোক আমিও ফুফুদের বাড়ি থেকে নিজ বাস ভবনে ফিরে আসলাম। মনতো ছুটাছুটি করছে রিয়াকে কোথায় গেলে পাবো .? রিয়ার বাসার ঠিকানা কার কাছে গেলে পাবো .? আমি প্রায় পাগল !!!
আমার ঠিক মনে নেই তিন থেকে চার দিন পর রিয়ার নাম্বার থেকে এস এম এস আসলো কেমন আছেন .? আমি কিছুটা বুঝতে পারলাম এইটা সম্ভব্যত রিয়াই হবে কিন্তু রিয়া এমন ভাবে এস এম এস দিচ্ছিলো যে কোনো ভাবে রিয়া স্বীকার ই করছিলনা যে সে রিয়া এমন ভাব ধরলো যে সে অন্য কেউ। যাই হোক প্রায় ঘন্টা দুইয়ের পর গিয়ে রিয়া স্বীকার করলো যে সে রিয়া । আমি কিযে খুশি হয়েছি বুঝিয়ে বলতে পারবো না ।
রিয়া এস এম এস দিয়ে বললো তারাতারি বাহিরে আসেন আমি দেখা করবো । আমি বললাম বাহিরে কথায় .? রিয়া বললো এই যে আমার কলেজের সামনে আসেন । তো তোমার কলেজ কোনটা আমি তো জানি না .? তখন রিয়া বললো আপনি আসলেই বোকা । আমি বললাম এমন ভাব নিচ্ছ যে তুমি আমাকে আগে বলে ছিলে তুমি কোন কলেজে পড়ো । কতো বার বললাম কিছুই বললে না ।
না বললা তোমার মোবাইল নাম্বার না বললা তোমার বাসার ঠিকানা না বললা তোমার কলেজের ঠিকানা !! যাই হোক রিয়া কলেজের পরিচয় দিতেই আমি হা করে রইলাম আর রিয়া কে বললাম কি বলো তুমি এই কলেজে পড়ো আমার সত্যি অনেক খুশি লাগছে কারন কলেজ টা আমার বাসার থেকে মাত্র ছয় থেকে সাত মিনিটের রাস্তা ছিলো ।
যাই হোক রিয়ার সাথে অবশেষে আমার দেখা হয়েই গেল । তার পর কি আর প্রত্যেক দিন রিয়ার সাথে দেখা হতো । আমি আর রিয়া দু জন দু জনের আরো কাছে চলে আসলাম । এই ছিল আমার আর রিয়ার প্রেমের অনুভতি।