একটু চালাকিঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম জানার মতো শিখার মতো এবং ভালো লাগার মতো উক্তি ষ্ট্যাটাস একটু চালাকি। আশা করছি পড়তে পেরে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন>>> স্বার্থপরতা ও লোভ ষ্ট্যাটাস ও উক্তি
একটু চালাকি
সাইফুর রহমান সুজন
লোকে বলে একটু চালাক চতুর না হলে, দুনিয়াতে নাকি চলা মুসকিল। আবার প্রবাদে আছে, “অতি চালাকের গলায় দড়ি”। কিন্তু আমাদের সবারই উচিত স্থান, কাল ও অবস্থাভেদে চালাকির আশ্রয় নেয়া। মূল কথায় আসি- গত কোরবানির ঈদে বাবা, কাকা ও ভাইয়াদের সাথে গরুর হাটে গরু কিনতে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরির পর বাবা এবং কাকার পছন্দের গরুর দাম ঠিক করা হলো। গরুর মূল্য ৬৪,০০০ টাকা নির্ধারিত হলো। বাবা গরু বিক্রেতাকে ৪,০০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখি গরুটি ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত। আমরা বিপাকে পড়ে গেলাম। এ অবস্থা দেখে বাব ও কাকা গরু বিক্রেতাকে অনেকবার অনুরোধ করার পরও সে কিছুতেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলো না। তা উক্তি, দাম যেহেতু করেছেন গরু নিতেই হবে আপনাদের, না হয় টাকা ফেরত পাবেন না। গরু বিক্রেতার কাছে আমরা পুরো ঠেঁকে গেলাম। পরিস্থিতি এমন দেখে, আমি (গরু বিক্রেতার পক্ষ নিয়ে) বাবা ও কাকার উপর প্রচন্ড রেগে গেলাম।
বাবা ও কাকাকে বললাম, আপনারা গরু পছন্দ করেছেন, দামও ঠিক করেছেন, কিছু টাকাও দিয়েছেন, এখন গরু নিবেন না মানে ! গরু নিতেই হবে ! ( আমার সাথে সবাই হা করে তাকিয়ে আছে আমার মুখের দিকে)।
আমার কথা গুলো শুনে গরু বিক্রেতা মনে মনে মহা খুশি। তার চোখে মুখে আনন্দের জোয়ার আর আমরা সবাই হতাশায়। আমি গরু বিক্রেতাকে (নিম্ন স্বরে) বললাম, খুচরা টাকা গুলো দেন আপনাকে গরুর সর্ম্পূন টাকা দিচ্ছি। বাবাকেও টাকা রেডি করতে বললাম(উচ্চস্বরে)। গরু বিক্রেতা নির্দ্বিধায় আমার খুচরা ৪,০০০টাকা ফেরত দিলো। তারপর আমরা ওই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে, কোরবানির উপযুক্ত অন্য একটি গরু কিনে স্বাচ্ছন্দ্যে বাসায় ফিরলাম এবং নিজের বুদ্ধিমত্তার জন্য পরিবারের সবার পক্ষ থেকে বাহবা পেলাম।
তাই আপনাদের সকলকে এইটাই বলবো যেখানে সেখানে এবং যার তার সাথে অযথা চালাকি করাও কিন্তু ঠিকনা। যেখানে চালাকির প্রয়োজন শুধু সেখানটায় একটু মাথা খাটিয়ে চালাকি করুন। সত্যি বলতে বেশি চালাক চতুর মানুষকে খুব কম সংখ্যক মানুষই ভালোবাসে বা পচন্দ করে। উপর দিয়ে হয়ত ভালো ভাবে কথা বলবে কিন্তু ঠিকই পিছনে আপনাকে নিয়ে সমালচনা করবে।