স্বার্থপরতা ও লোভ ষ্ট্যাটাস ও উক্তিঃ যে সমস্ত ব্যক্তি ও সংস্থা পরস্পরের প্রতি এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি স্বার্থপরের মতো ব্যবহার করে, তাদের উন্নতি আশা করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যে অপরের মঙ্গলের প্রতি লক্ষ্য না রেখে দায়িত্বটি অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া। লোভ সব সময়ে বেশি চায়। প্রয়োজন মেটানো যেতে পারে কিন্তু লোভকে কখনো তৃপ্ত করা যায় না। এটি আত্মার ক্যান্সার বিশেষ। লোভ মানসিক সম্পর্ককে নষ্ট করে। লোভকে পরিমাপ করার কি কোন পদ্ধতি আছে ? তার জন্য আমরা আমাদেরকে তিনটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারি।
আরো পড়ুন>>> অপরের ব্যবহারের ইতিবাচক ব্যাখ্যা করুন
স্বার্থপরতা ও লোভ ষ্ট্যাটাস ও উক্তি
*** এই জিনিসটি কি আমার সামর্থেরমধ্যে আছে ?
*** এটি কি সত্যি আমার দরকার ?
*** জিনিসটি যদি আামার থাকে তবে এর থেকে কী আমি মানসিক শাস্তি পাব ?
দুর্বল আত্মসম্মানবোধ থেকেই লোভের জন্ম। লোভ মিথ্যা অহংকারের মধ্যে এবং অন্যদের সঙ্গে সমতা রক্ষার চেষ্টায় নিজেকে প্রকাশ করে। লোভের হাত থেকে পরিত্রাণ পাবার জন্য নিজের সামর্থের মধ্যে জীবনযাত্রা নির্বাহ করা উচিত এবং নিজের সামর্থে্য সন্তুষ্ট থাকা উচিত, অবশ্য সন্তুষ্ট থাকার অর্থ এই নয় যে জীবনে কোন উচ্চাকাঙক্ষা থাকবে না।
শেষ কথায়?
এক ধনী কৃষকের গল্প আছে। একবার তাকে এই প্রস্তাব দেওয়া হল যে, সে একদিন যতদূর পর্যন্ত হেটে সূর্যাস্তের আগে শুরুর জায়গায় ফিরে আসতে পারবে ততটা জমি তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। পরের দিন খুব ভোরে কৃষকটি দ্রুত হাটতে শুরু করলো। কারণ যতটা দূরত্ব হাঁটতে পারবে ততটা জমি সে পাবে। ক্লান্তি সত্ত্বেও সে সমস্ত দুপুর হাঁটল কারণ অনেক জমি পাবার এই সুযোগ সে হারাতে চাইছিল না। একেবারে শেষ বেলায় এসে তার খেয়াল হল যে, জমি পাবার জন্য তাকে যাত্রা শুরুর জায়গায় সূর্যাস্তের আগে ফিরে আসতে হবে। কিন্তু তার লোভ তাকে অনেকদূর পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে গেছিল। ফেরাবার পথে সূর্যের দিকে চোখ রেখে সে শেষ পর্যন্ত দৌড়াতে শুরু করল। ক্লান্ত হয়ে সে হাফিয়ে উঠেছিল কিন্তু তবুও সে নিজেকে তাড়না করে নিয়ে গেল জমির লোভে। শেষ পর্যন্ত যখন সে শুরুর জায়গায় পৌছল তখন তার দেহও সহ্যের শেষ সীমায় এসে পৌছেছে এবং সূর্যও অস্তাচলমুখী। এই স্থানে এসে সে ক্লান্তিতে লুটিয়ে পড়ল এবং অল্পক্ষণের মধ্যেই সে মারা গেল। অনেকটা জমি সে পেয়েছিল বটে কিন্তু কবরের জন্য জায়গাটুকু ছাড়া বাকি জমি তার ভোগেই লাগল না।
এই গল্প অনেক সত্য আছে এবং আছে শিক্ষণীয় বিষয়। যে কোনও লোভী লোকের শেষ পরিনাম এমনই হয়।