ফলের উপকারিতা
আমাদের দৈনদ্দিন সকল কাজে শক্তি প্রয়োজন । আর এই শক্তি আসে ফল থেকে । যত বেশী ফল খাবেন তত বেশী কাজ করার শক্তি পাবেন ও শরীর ভাল থাকবে । কোন রোগে কোন ফল খাবেন তা দেওয়া হল ।
উপকারিতা :
প্রোটিন : প্রোটিন শরীরে পেশি ও মেদ তৈরি করে । সব ফলের মধ্যে শুকনো ফলই সবচেয়ে বেশী প্রোটিন আসে । যেসব ফলে বেশী প্রোটিন জোগায় সেগুলো হল – পাকা কলা , খেঁজুর , ডুমুর , পেয়ারা , কাঁঠাল , নাশপাতি , ডালিম , আতা, পানি ফল । এই গুলো প্রায় সবই টাটকা ফল ।
রক্ততৈরি : রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করার জন্যে আয়রন বা লোহের প্রয়োজন । শরীরে বিশুদ্ধ বা শুদ্ধ রক্ত তৈরি করার জন্যে শাক-সবজির পাশাপাশি বেশী বেশী ফল খাওয়া খুবই জরুরি । যে সব ফলে আয়রন বা লৌহ আছে সেগুলো হল – খেঁজুর আপেল , কিসমিস , আখরোট ।
জন্ডিস হলে : লিভারে অপ্রয়োজনীয় পিত্তরস জমা হতে থাকলে প্রসাব হলুদ রঙের হয় , চোখ ও আস্তে আস্তে ঘোলাটে হতে আরম্ব করে । লিভারের ব্যাথা হয় । খুব কঠিন জন্ডিসে নখ থেকে আরম্ভ করে সারা শরীর ক্রমশ হলুদ হয়ে যেতে থাকে । এমন কি রোগী চোখেও সব কিছু হলুদ দেখতে আরম্ভ করে । ঘন ঘন বমি হওয়া ও অনেক ক্ষেত্রে জন্ডিসের একটা লক্ষণ । সাধারণ ভাবে ডাক্তাররা মাছ মাংস বা ফ্যাট আছে এরকম খাবার খেতে দেয় না কারন তাতে লিভারে চোট পড়বে । আখের রস খাওয়ার কথা আমরা সকলে জানিএছাড়া বাদাম খুবই উপকার করে যদিও বাদামে ফ্যাট আছে । আগের দিন রাতে আটটা বাদাম , পাঁচটা ছোট এলাচ ও দুটো খেজুর অনেকটা পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে । পরের দিন পরের দিন সকাল বেলা বাদামের খোসা ছাড়িয়ে , খেঁজুরের আটিঁ বের করে , ছোট এলাচের খোসা ছাড়িয়ে এক সঙ্গে ভাল রে পিচে নিন । এই মিশ্রন খানিকটা চিনি ও টাটকা সামান্য মাখনে মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিন । কয়েক দিন খেলেই ভাল লক্ষণ দেখা যাবে । এতে করে বেশী করে আখের রস আর বাদাম ভাল কাজ করে ।
পাতি লেবু লিভারের সব অসুখেই উপকার দেয় । রোগীকে পাতি লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে দিনে অনেক বার করে খেতে দিন । এছাড়া ডালিমের রস তাতে যদি একটা পরিস্কার লোহা যেমন ( চাবি ) সারা রাত ডুবিয়ে রেখে পরের দিন সকালবেলা তাতে একটু পানি ও চিনি মিশিয়ে রোগীকে খাওয়ানো যায় তাতেও লিভার তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে এবং রোগীর মুখের হলুদ ভাব কাটবে ।