রূপকথার গল্প

রূপকথার গল্পঃ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম খুব সুন্দর ও মজার রূপকথার গল্প। আশা করছি পড়তে পেরে আপনাদের অনেক বেশি ভালো লাগবে।                আরো পড়ুন>>> রুপকথার গল্প

রূপকথার গল্প

রূপকথার গল্প

জাদুর পাথর

একদিন যুবক নদীতে মাছ ধরতে গেলো। কিছু মাছ ধরার পর মাছগুলো কেটে সে নাড়ি ভুঁড়ি কুকুরকে খেতে দিলো। কুকুর যখন নাড়ি ভুঁড়ি খাচ্ছিলো, আচমকা তাতে একটি ছোট পাথর পাওয়া গেলো,যা সূর্যের মতো ঝলঝল করে জ্বলছিলো। যুবক পাথরটি দেখে আনন্দে লাফিয়ে উঠলো। কেননা এটি ছিলো একটি জাদুর পাথর। যার সম্পর্কে লোক মুখে অনেক কথা প্রচারিত ছিলো। সে পাথর উঠিয়ে হাতে রেখে বললো হে’’’’ জাদুর’’’’ পাথর’’’’’! আমার জন্য খাবার নিয়ে এসো। কথা শেষ করে ফিরতেই বিস্ময়ে সে থমকে গেলো। মুহূর্তের মধ্যে তার সামনে প্রায় বিশ প্রকারের এমনসব খাবার উপস্থিত হয়েছে, যা ছিলো অনন্য এবং অত্যন্ত সুস্বাদু। বালক তার তার জীবনে স্বপ্নেও কখনো এসব খাদ্য দেখেনি। সে উদর ভর্তি করে খাবার খেলো। এরপর দৌড়ে সে ঘরে ফিরে আসলো এবং জাদুর পাথর তার মাকে দেখালো। মা বেশ খুশী হলেন। সেদিন থেকে মা ছেলে সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলেন।

একদিন যুবক শহরে গেলো। সেখানে চলাকালীন আচমকা সে এক সুন্দরী রমণীকে দেখতে পেলো। খবর নিয়ে জানতে পারলো মেয়েটি রাজকুমারী। মেয়েটিকে তার এতো ভালো লাগলো যে, তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলো। ঘরে ফিরে সে তার ইচ্ছার কথা মাকে বললো। মা সবকিছু শুনে চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন বাবা !তুমি জানো মেয়েটি রাজার মেয়ে । আমি বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেতে পারবো না। কিন্তূ ছেলে পীড়াপীড়ি করতে লাগলো। অবশেষে মা রাজি হয়ে গেলেন। বললেন যাওয়ার জন্য তো বারবার আবদার করছো। আমি অবশ্যই যাবো। কিন্তূ মনে রেখো। বাদশার পরিবারে সম্পর্ক করে কেউ সুখী হয়নি। যাক,রাতের আধাঁরে মা শাহী প্রাসাদের দরজায় পৌঁছে গেলেন এবং সম্মুখস্থ রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার করে দিলেন। ভোরে যখন বাদশা মহল থেকে বের হলেন,দরজার সামনে পুরো রাস্তা পরিচ্ছন্ন দেখতে পেয়ে অবাক হলেন। পরদিন ভোরেও যখন বের হলেন, একই অবস্থা দেখলেন। তিনি আরো বেশি অবাক হলেন এবং দরজার সামনে পাহারাদার নিযুক্ত করলেন।

রূপকথার গল্প

জাদুর পাথর

তৃতীয় দিন ভোরে পাহারাদার একজন মহিলাকে ধরে বাদশাহর সামনে উপস্থিত করলো। বাদশাহ জিজ্ঞেস করলেন বলো ! প্রতিদিন রাতে আমার প্রাসাদের সামনে রাস্তা কেন ঝাড়ু দিচ্ছো ? মহিলা বললেন বাদশা নামদার ! আমি একজন নিঃস্ব বিধবা। আমার একটি মাত্র ছেলে। আমি আপনার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। কিন্তূ আপনার সামনে আসার সাহস হচ্ছিলো না। আর আপনার পাহারাদার ওতো আসতে দিতো না। একজন দরিদ্র মহিলার এমন হাস্যকর প্রস্তাব শুনে বাদশা প্রজাদের নির্দেশ দিলেন মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে।

কিন্তু বাদশার উজির বললেন বাদশা নামদার ! বেচারি মহিলাকে গ্রেপ্তার করার কি দরকার এমন কোনো শর্ত দিয়ে দিন, যা পূর্ণ করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। তখন সে নিজেই মহলে আসা বন্ধ করে দিবে। উজিরের প্রস্তাব বাদশার পচন্দ হলো তিনি মহিলাকে বললেন যাও তোমার ছেলেকে গিয়ে বলো আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে সে চল্লিশটি উট-ভর্তি স্বর্ণ যেন আমার কাছে পাঠায়। মহিলা হতাশ হয়ে ভাবলেন আমরা একে বারে নিঃস্ব এতো স্বর্ণ যোগাড় করবো কিভাবে। মহিলা প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন বাড়ি তে পৌছে বাদশার দেয়া শর্ত যখন ছেলেকে বললেন, তখন ছেলে বললো আম্মি আপনি এসব নিয়ে মোটেও ভাববেন না।

অতঃপর সে জাদুর পাথরকে হাতে নিয়ে কিছু একটা বললো। ভোর হতেই ৪০ উট ভর্তি স্বর্ণ মহিলার বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত। ছেলে এবার মাকে বললো আম্মি আপনি এসব উট নিয়ে বাদশার কাছে যান। মা বেশ অবাক হলেন। কিন্তূ কোনো প্রশ্ন ছাড়াই স্বর্ণ ভর্তি ৪০টি উট নিয়ে বাদশার দরবারে পৌছালো। সবকিছু দেখে বাদশা বেশ অবাক হলেন। এবং বাদশা সাথে সাথে তার মেয়ের ছেলের বিয়ে দিয়ে দিলো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!