কিভাবে মনকে পূর্বপরিকল্পনা অভ্যস্ত করতে হয়ঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো জানার মতো কিছু কথা উক্তি ষ্ট্যাটাস। আমার কাছে পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি পড়তে পেরে ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন>>> সু-অভ্যাস তৈরী করা উক্তি ষ্ট্যাটাস
কিভাবে মনকে পূর্বপরিকল্পনা অভ্যস্ত করতে হয়?
(How do we get programmed?)
খেয়াল করুন কিভাবে আমরা সাইকেল চড়া শিখেছি। এই শেখার বিরাট ধাপ আছে। প্রথম ধাপে সাইকেল চড়ার যোগ্যতা এই বিষয়টিও জানা চড়া জিনিসটা কী, এবং সে চড়তেও পারে না। এই সমস্যার নাম অজ্ঞতা বিষয়ে অসচেতন।
দ্বিতীয় অবস্থাকে বলে সচেতন ভাবে অজ্ঞা। বালকটি একটু বড় হয়ে বুঝতে পারে সাইকেল চড়া বলতে কী বোঝায় কিন্তু এটাও জেনে যায় যে, সে সাইকেলে চড়ার পদ্ধতি জানে না। তার অজ্ঞতা সম্পর্কে সচেতন।
শিখতে শুরু করার পর তৃতীয় অবস্থা-যাকে বলে সচেতন ভাবে সাইকেল চালনায় যোগ্য। এই সময় বালকটি সাইকেল চালাতে শিখে যায় ঠিকই, কিন্তু চালাবার সময় তার বিদ্যাকে এতবার প্রয়োগ করেছে যে সাইকেল চালানোর সময় আর তাকে পদ্ধতি সর্ম্পকে ভাবতে হবে না। তার কাছে এটা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মতো। সাইকেল চালাতে সে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে পারে কিংবা অন্যের দিকে তাকিয়ে হাত নাড়াতে পারে। এর মানে এই সে সাইকেল চড়াতে সে অবচেতন দক্ষতা লাভ করেছে। এই অবস্থায় চিন্তা করে অর্জিত দক্ষতাকে কাজে লগাবার প্রয়োজন হয় না। এই দক্ষতা স্বয়ংক্রিয় অভ্যাসের মতো হয়ে গিয়েছে।
*** অভ্যাস সাময়িক বিচ্যুতি হিসাবে শুরু হলেও ধীরে ধীরে তা স্থায়ী বিচ্যুতিতে পরিণত হয়। নিজেকে এই প্রশ্নগুলি করুন:-
১. নিজের কাজের মান নিম্নগামী হতে দিচ্ছেন?
২. খোশগল্পে সময় কাটাবার অভ্যাস আছে?
৩. ঈর্ষা ও আত্মম্ভরিতা কি আপনার সর্বক্ষণের সঙ্গী?
৪. আপনার সহমর্মিতা কি কম?
এইভাবে আরও অনেক বলা যেতে পারে। আমরা অভ্যাসের দাস। এটি একদিকে ভালো এই জন্যে যে কোনও কাজ করার আগে সর্বদাই চিন্তা করতে থাকি, তাহলে কোনও কাজই করতে পারবো না, আমাদের এত সময় নেই। আমরা আমাদের চিন্তাকে সু-শৃঙ্খল করে আমাদের অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণ করি। এই জন্য আমাদের অবচেতন মনের ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় শৈশবে আমাদের অভ্যাসগুলিকে তৈরি করতে হয়, ফলে পূর্ণ বয়সে চরিত্র গঠন সহজ হয়। এই জন্যই প্রথম জীবনে সঠিক অভ্যাস তৈরি করা দরকার, কিন্তু দেরি হলেও সবসময় শুরু করা যায়।
আমরা যে কাজ করি তা কষ্ট এড়াবার জন্য এবং আনন্দ পাবার জন্য। যতক্ষণ পর্যন্ত কষ্টের থেকে আনন্দ বেশি, আমরা ঐ কাজের অভ্যাস বহাল রাখি। কিন্তু যদি আমাদের আনন্দের থেকে কষ্ট বেশি হয়, তাহলে তা পরিত্যাগ করি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, যখন ডাক্তার ধূমপায়ীকে ধূমপান বন্ধ করার কথা বলেন, সে বলে, “আমার অভ্যাস হয়ে গেছে, আমি পারব না। ধূমপান আমার ভালো লাগে” এবং সে ধূমপান চালিয়ে যায়, এখানে ধূমপানের আনন্দ কষ্টের চাইতেও বেশি। তারপর যখন একদিন জটিল সমস্যা দেখা দেয় তখন ডাক্তার বলেন, আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে এখনি ধূমপান বন্ধ করুন। তখন সে ধূমপান বন্ধ করে। ধূমপানের ফল, আনন্দ পাওয়ার থেকেও অনেক বেশি গুরুত্বর।