বর্ষাকাল

বর্ষাকালঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো মজার কিছু কথা বর্ষাকাল নিয়ে। আশা করছি আপনাদের কাছে পড়তে পেরে অনেক ভালো ও আনন্দ লাগবে।

                                                                                             আরো পড়ুন>>> বৃষ্টির কবিতা

বর্ষাকাল

বর্ষাকাল

আমি ঢাকায় থাকি। গত বর্ষায় আমি আমাদের গাঁয়ে গিয়েছিলাম। দেখেছিলাম বর্ষাকালের প্রকৃতি আর মানুষের অবস্থা। প্রতি দুমাস পর পর বাংলাদেশে একটি করে নয়া ঋতু আসে। আর এগুলো হচ্ছেঃ- গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। আষাঢ়-শ্রাবণ, মাস মিলে বর্ষাকাল। এ ‍ঋতুতে আকাশ প্রায় মেঘাচ্ছন্ন থাকে। প্রবল বেগে বাতাস বয়। সূর্য লুকিয়ে থাকে মেঘের আড়ালে, আর বৃষ্টি হতে থাকে মুষলধারে। কখনও কখনও বৃষ্টি চলতে থাকে দিনের পর দিন। শীত ও গ্রীষ্মে যেসব ডোবা-পুকুর শুকিয়ে যায়, সেগুলো আবার ভরে উঠে। নদ-নদীর পানি বাড়তে বাড়তে দু’তীর ভাসিয়ে দেয়। এ ঋতুর একটি বিরাট অংশ জুড়ে কিছু জায়গা জলমগ্ন থাকে, দেখে মনে হয় বিস্তৃত জলাশয়। সবখানে পথঘাট ঢাকা পড়ে থাকে কাদায়। অনেক গাঁয়ে নৌকায় চলাফেরা করতে হয়।

ভূপ্রকৃতি হয়ে উঠে সবুজ। শুকনো পাতা ঝরে যায় এবং সেসবের জায়গায় গজায় নতুন পাতা। গ্রামের রাস্তা কাদায় সয়লাব হয়ে যায় এবং কোন কোন রাস্তা একে বারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাইরের খেলাধুলা এবং কর্মকান্ড কঠিন হয়ে পড়ে। আমি যখন পুরোপুরি ভিজে যাই, তখন খুব ভালো লাগে।বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন একেবারেই সাদামাটা ও একঘেঁয়ে। গাঁয়ের লোকজন সহজ, সরল, ধর্মপ্রাণ ও রক্ষণশীল। তারা পৃথিবীর পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের পাল্টাতে পছন্দ করে না। গ্রামের লোকজনকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। ধনী, মধ্যবিত্ত এবং মজুর শ্রেণী। বর্ষাকালে গরিব মজুরদের জীবন হয়ে ওঠে মানবেতর। আর ধনী ও মধ্যবিত্তরা দিন কাটায় মহানন্দে। বর্ষাকাল আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উপকারী। এটি সব ঋতুর চেয়ে সুন্দর। আর তাই বর্ষাকালে আমি গ্রামে বেড়ানোর সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নৌকা দিয়ে চলাফেরা করে আনন্দ লাভ করেছি।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!