প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই ভাবসম্প্রসারণ

প্রয়োজনে যে মরিতে প্রস্তুত, বাঁচিবার অধিকার তাহারই ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাবঃ সত্য, ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য, সুন্দর সমাজ নির্মাণের ব্রত নিয়ে যে প্রয়োজনে মৃত্যুকে হাসিমুখে গ্রহণে প্রস্তুত, প্রকৃতপক্ষে তাঁরাই মানুষ। সমাজে তাঁরাই সম্মানের পাত্র। তাই শির সর্বদাই থাকে উন্নত।

ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষ এ পৃথিবীতে যদি যথাযোগ্য মর্যাদা সহযোগে বেঁচে থাকতে পারে তবেই জীবনের স্বার্থকতা ফুটে ওঠে। মর্যাদা সহকারে বাঁচার অর্থ ব্যক্তিত্বপূর্ণ জীবনের যথাযথ রূপায়ণ। সর্ব প্রকার বিপদ-আপদ ও সঙ্কট সাহসের সাথে মোকাবেলা করার মধ্যেই জীবনের সাফল্য নির্ভর করে। বিপদে মানুষ যদি ভীত হয়ে পড়ে, তবে তাতে জীবনের গৌরব প্রকাশ পায় না। বাঁচতে হবে সাহসের সাথে। এর জন্য জীবনে বিপদকে তুচ্ছ ভাবতে হবে। যদি জীবন পণ করারও প্রয়োজন পড়ে তবে তাও করার সাহস থাকতে হবে। আত্মত্যাগের সাহস থাকলে জীবনের মূল্য বোঝা যায়। আর কোনো কিছুর ভয়ে যদি জড়োসড়ো ও নির্জীব হতে হয় তবে মানুষের বাঁচার কোনো সার্থকতা নেই। সাহসের সাথে সব বিপদ মোকাবেলা করলেই জীবনের অধিকার প্রমাণিত হবে। মানুষকে তাই যথার্থ সাহসী হয়ে জীবনের গৌরব প্রমাণ করতে হবে। আত্মত্যাগী সাহসী মানুষেরই বাঁচবার অধিকার আছে; ভীরুু, কাপুরুষ ও দুর্বল চিত্তের নেই।

মূলভাবঃ আজকের সমাজ চায় সত্যিকারের ত্যাগী মানুষ। লোভের মরিচীকায় ভেসে চলা বেশিদিন স্থায়ী হবার নয়। প্রকৃত ত্যাগী মানুষের মূল্য দিন যত যায় ততই বাড়ে। এটাই সত্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!