প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক ভাবসম্প্রসারণ

প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক ভাবসম্প্রসারণ

মূলভাবঃ চাহিদাই মানুষকে যোগানের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে শিখিয়েছে। এ জগতে কোনো কিছুই আকস্মিকতায় সৃষ্টি নয়। প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়োজন উপহার দিয়েছে বড় বড় আবিস্কার।

ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষের জীবনের প্রয়োজন সাধন বা অভাববোধ মিটানো থেকেই বিচিত্র জিনিস উদ্ভাবনের ইতিহাস শুরু হয়েছে। জীবনের জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন। থাকা, খাওয়া, পরা, চলাফেরা কত দিকেই না মানুষের প্রয়োজনীয় কাজ। আর সে প্রয়োজন মেটানোর জন্য মানুষকে অনেক কিছু আবিস্কার করতে হয়। এর ফলে মানব সভ্যতার বিচিত্র বিকাশ ঘটেছে। মানুষের মনের চাহিদা মেটানোর প্রচেষ্টার সঙ্গে তার কর্মকান্ডের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। মানুষ সুখে থাকতে চায়, চায় তার জীবন থেকে সব দুঃখ দূর করতে। এর জন্য তার অনেক উপকরণের প্রয়োজন পড়ে। এ প্রয়োজন মেটানোর জন্য মানুষকে উদ্ভাবনার পথে চলতে হয়। অনেক জিনিস উদ্ভাবন করা সম্ভব হলেই প্রয়োজনীয়তা মেটানো হয়। এভাবে প্রয়োজন মেটানোর প্রচেষ্টা থেকেই উদ্ভাবনের কাজ চলে। সে কারণে উদ্ভাবন বা আবিস্কারের জনক হিসেবে প্রয়োজনীয়তাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

মন্তব্যঃ মানুষের প্রয়োজনীয়তা অসীম। সুতরাং আবিস্কারের ভবিষ্যৎ সংখ্যাও অসীম। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রয়োজনীয়তার ফলাফল হচ্ছে উদ্ভাবন। এটি মানব জীবনের একটি অন্যতম বৈচিত্র্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!