শান্তির বাহন ঘুম ষ্ট্যাটাস

শান্তির বাহন ঘুম ষ্ট্যাটাসঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমাদের সবার খুবই কাছের এবং পচন্দের একটি শব্দ ও বাক্য ঘুম। ঘুমাতে ভালোবাসে না এবং মানুষ খুবই কমই আছে। সকল মানুষ ও জীব-জন্তুরই ঘুমের প্রয়োজন আছে এবং তারা ঘুমায়। ঘুম সকলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি বাক্য। তাই প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো জানার মতো কিছু কথা শান্তির বাহন ঘুম ষ্ট্যাটাস।

                                                                                আরো পড়ুন>>> রাতের রোমান্টিক এসএমএস

শান্তির বাহন ঘুম ষ্ট্যাটাসশান্তির বাহন ঘুম ষ্ট্যাটাস

ঘুম হচ্ছে বিশ্রামের একটি অবস্থা, যখন শরীরের পেশিসমূহ শিথিল হয়ে আসে। নড়াচড়া কমে যায়। আল্লাহতায়ালা ঘুম কে আমাদের জন্য শান্তির বাহন করে দিয়েছেন। সারাদিন পরিশ্রম করার ফলে তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়। একটা লম্বা ঘুম দিলে আবার সকল ক্লান্তি, অবসাদ কেটে গিয়ে তুমি সতেজ হয়ে যাও। না ঘুমালে তোমার কি দশা হবে এ কথা একটু চিন্তা করে দেখ। আসলে ঘুম আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট নিয়ামত। ঘুম সবার দরকার। কুকুর ঘুমায়, বিড়াল ঘুমায় এবং তুমিও ঘুমাও। সব স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখি ঘুমায়। তবে মাছ, সরীসৃপ ও কীটপতঙ্গ ঘুমায়  কি না সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন।

বড় প্রাণীরা কম ঘুমায় এবং ছোট প্রাণীরা বেশী ঘুমায়। হাতি এবং জিরাফ দিনে মাত্র দুই থেকে চার ঘন্টা ঘুমায়। বাদুড়, অপোসাম এবং আরমাডিলো দিনে ১৮ ঘন্টাই ঘুমিয়ে কাটায়। বয়স্কদের চেয়ে বাচ্চাদের ঘুমের দরকার হয় বেশি। সদ্যজম্ম নেয়া বাচ্চা দিনে ১৭-১৮ ঘন্টা ঘুমায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘুমের পরিমাণ কমতে থাকে। দশ বছর বয়সীদের রাতে ছয় থেকে নয় ঘন্টা ঘুমের দরকার। কারো এর থেকেও বেশি ঘুম প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিতভাবে জানেন না ঠিক কী জন্য আমরা ঘুমাই। তবে তারা কিছু কারণ বের করেছেন। নিরাপত্তা একটি অন্যতম কারণ। মানুষ এবং প্রাণীরা রাতে নিজ নিজ আবাসস্থলে ঘুমায়। এতে তারা রাতে নিরাপদ থাকে।

অধিকাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখি রাতে গাছে, মাটির গর্তে অথবা বাসায় চলে যায়। প্রাগৈতিহাসিক যুগের মানুষ আশ্রয়ের জন্য রাতে গুহায় চলে যেত। অতঃপর পালক বা গাছের ছাল গায়ে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। রাত হলে তুমিও তোমার বিছানায় চলে যাও এবং আরাম করে বিছানায় শুয়ে পড়। তাছাড়া ঘুম তোমার শরীরকে ভালো রাখে। র্দীঘ পথ ভ্রমণ করার পর একটি লম্বা ঘুম না দিলে তোমার শরীরের সতেজতা ফিরে আসবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে তোমার শরীরে নানা রকম ত্রুটি দেখা দিতে পারে। না ঘুমালে তুমি চিন্তা করতে পারবে না, কাজ কর্ম এবং কি খেলতেও পারবে না। রাতে ঘুমানোর সময় হলে তুমি আল্লাহর নাম নিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!