অতি দীন ও অশক্ত লোকেরাই দৈবের দোহাই দিয়া থাকে ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ জীবনে যারা পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনে সাহসী হয় না, তারাই ভাগ্যের লিখন বলে কিছু মেনে নেয়। অথচ ভাগ্যের লিখন বলতে কিছুই নেই। চেষ্টা দ্বারা সবকিছুই অর্জন সম্ভব।
ভাবসম্প্রসারণঃ জীবনের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়। নানা প্রতিকুল পরিবেশ ও বাধার কাঁটা পেরিয়ে পথ চলতে হয়। প্রতি মুহূর্তে জীবন তাই আমাদের কাছে সাহসিকতা ও সতর্কতা দাবি করে। নিপুণ নাবিক যেমন প্রতি মুহূর্তে সচেতনভাবে আকাশের প্রলয় এবং সমুদ্রের তরঙ্গের দিকে লক্ষ্য রাখে, ঠিক তেমনি জীবনের পথপরিক্রমায় আমাদের সচেতনতা জরুরি। কিন্তু সংসার অধিকাংশই এ সামর্থে্যর অধিকারী নয়। তারা আরামপ্রিয়, উদাসীন এবং দুরুহ জীবনযাপনে স্বভাবতই অনভ্যস্থ। এসব মানুষ যখন প্রবল বাধার সামনে দাঁড়ায়, এক মুহূর্ত শির উন্নত রাখতে পারে না, তখন তারা শুধুমাত্রই আক্ষেপ ও হাহাকার দিয়ে পরিবেশ ভারি করে। এ দুর্বল মানসিকতা থেকেই দৈববোধের সৃষ্টি। একজন যথার্থ পুরুষের অধিকারী ব্যক্তি কখনো বলেন না, হায় ! এতো দৈবের লীলা। বরং “যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ”- এ নীতি অবলম্বনে তিনি শেষপর্যন্ত লড়ে যান।
মন্তব্যঃ প্রকৃতপক্ষে শক্তিমানের সহায় তার শপথ এবং চেতনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গরুপ মানসিকতা। আর দুর্বলের নির্ভরতা দৈব-কল্পনা।