পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয় ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ মানুষ জন্মের সময় নিষ্পাপ হয়েই জন্মগ্রহণ করে। পরবর্তীতে চলমান সমাজ জীবনের পাল্লায় পড়ে নিজের অজ্ঞাতেই একদিন সে পাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাই পাপীকে ঘৃণা না করে সবারই পাপকে ঘৃণা করা উচিত।
ভাবসম্প্রসারণঃ মানুষ সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষ যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে থাকে নিষ্পাপ। ক্রমশ সে বড় হতে থাকে। এক সময় সে জীবনের তাগিদে অর্থের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার এ চলার পথে নিজের অজান্তেই কিংবা সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রেই তাকে ধাবিত করে অন্যায় পথে। ফলে সে হয় পাপী। অথচ সে পাপী হয়ে জন্মায় নি। আমাদের সমাজে এরূপ অসংখ্য পাপীর সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তাদের পাপী হওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ আছে। আমরাই তাদেরকে পাপী হতে বাধ্য করছি। অথচ আমরা তাদের সঠিক পথে আনার চেষ্টা না করে আরো অবহেলা করি।
এটি মোটেও ঠিক নয়। অনুকূল পরিবেশ আর মায়া মমতায় পাপীরাও চায় সুন্দর ভাবে বাঁচতে। আর আমরা সে সুযোগ না দিয়ে উল্টো পাপীদের এড়িয়ে চলি। আমাদের এ ধরনের মানসিকতা একজন পাপীর সংশোধনের অন্তরায়। এর ফলে পাপের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। পাপী অবহেলিত হলে সাধারণের প্রতি তার মনের ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়। কাজেই পাপীকে ঘৃণা করা উচিত নয়।
মন্তব্যঃ আমাদের সবাইকে এ সমাজ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে। সুন্দর সমাজ গঠনের জন্য পাপীকে বুকে টানতে হবে। আর পাপকে ঘৃণা করতে হবে।