সু-অভ্যাস তৈরী করা উক্তি ষ্ট্যাটাসঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম জানার মতো শিখার মতো ও ভালো লাগার মতো কিছু উক্তি ষ্ট্যাটাস সু-অভ্যাস তৈরী করা উক্তি ষ্ট্যাটাস। আমার কাছে পড়তে পেরে অনেক ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি পড়তে পেরে আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন>>> প্রতিদিনের ব্যবহারে সৌজন্যমূলক আচরণ অনুশীলন করুন
সু-অভ্যাস তৈরী করা উক্তি ষ্ট্যাটাস
আমাদের ব্যবহার আমাদের অভ্যাসের ফলশ্রুতি। অভ্যাসের ফলে আমাদের কিছু ব্যবহার আপনা-আপনিই হয়ে যায়। চরিত্র আমাদের অভ্যাসের যোগফল। যদি কোন ব্যক্তির ইতিবাচক অভ্যাস থাকে, তার চরিত্রও ইতিবাচক হয়। আবার নেতিবাচক অভ্যাসের ফলে নেতিবাচক চরিত্রের মানুষ হয়। যুক্তি এবং বিচারের থেকে অভ্যাস আরও শক্তিশালী। প্রথমে অভ্যাসে এত দুর্বল থাকে তা বোঝা যায় না, কিন্তু ধীরে ধীরে এত দৃঢ় হয়ে যায় যে সে অভ্যাস ত্যাগ করা কঠিন হয়। সু-অভ্যাস তৈরি করার জন্য দৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন।
বাল্যকালে আমার বাবা, মা আমাকে বলতেন-“তোমার সু-অভ্যাস তৈরী করা প্রয়োজন, কারণ অভ্যাস চরিত্র গঠন করে।”
কিভাবে অভ্যাস তৈরী হয়? (How do we habits?)
আমরা যা পুনঃ পুনঃ করি, তা অভ্যাসে পরিণত হয়। কাজ করেই আমরা শিক্ষা লাভ করি সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করলে আমরা সাহসি হই। আমরা যদি সততা ন্যায় পরায়ণতা অভ্যাস করি তাহলে এই গুণগুলি আমাদের চরিত্রে অধিগত হয়। সেই ভাবে যদি আমরা নেতিবাচক গুণ-যেমন অ-সততা, অন্যায় ব্যবহার অথবা শৃঙ্খলা বোধের অভাব অভ্যাস করি, তাহলে সেগুলিই আমাদের চরিত্রে প্রকট হয়।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও অভ্যাসের দ্বারা তৈরী হয়। অভ্যাসই আমাদের মানসিক অবস্থার এবং বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
অবস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
আমাদের অনেক ব্যবহারই আপেক্ষিক অর্থাৎ অন্য কিছুর ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে এই অভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। আমরা যদি কোন কাজ ভালো করে করতে চাই, তবে তা স্বয়ংক্রিয় ভাবেই হওয়া উচিত। যদি আমরা সচেতন ভাবে চিন্তা করে সঠিক জিনিসটি করতে চাই তাহলে অনেক সময়ে ভালোভাবে করা যায় না। অর্থাৎ ভালোভাবে কাজ করার একটা অভ্যাস তৈরী করা দরকার।
আমরা সব সময়েই এবং সকলেই ক্রমাগত পরিবেশ এবং সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা কিন্তু আমাদের ইতিবাচক অবন্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।