আদা খাওয়ার উপকারিতাঃ আদা এমন একটি মশলা জাতীয় খাবার যা আমরা সাধারণত রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। আদা কিন্ত মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। প্রতিদিন আমরা যদি অল্প কচি পরিমাণ আদা খেতে পারি তাহলে শরীর ভালো থাকবে আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আদা খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি । Read more>>> চোখের রোগে ফল সবজি
আদা খাওয়ার উপকারিতা
আদা যদি প্রতিদিন অন্তর আমরা একটু আকটু খেতে পারি তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শুধু বাড়বেই না শরীরকে চাঙ্গা রাখে এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলে এবং সামান্য রকম জ্বর, সর্দি ও মাথা ব্যথা থেকে শরীরকে রক্ষা করে।আদা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে অনেক বেশি গুণ।
আদা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন চায়ের সাথে হোক আর এমনি খালি হওক রোজ একটু আকটু আদা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
আদা রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। অনেক সময় আমাদের দেহে অস্থিরতা কাজ করে, তখন কোন কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। বমি বমিভাব বা বমি হয়ে যায়। এমন সময় আপনি যদি আদা কুচি করে চিবিয়ে খান অথবা আদার রসের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে পান করেন। তাহলে তাৎক্ষণিক সমাধান পেয়ে যাবেন। গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। এই সমস্যা কাঁচা আদা দূর করবে অনায়সে।
দেহের কোথাও ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে আদা। এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট, যা যেকোন কাটাছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুুত ভালো করে। পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর । আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।
৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণা দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। মাইগ্রেনের ব্যথা ও ডায়াবেটিস জনিত কিডনির জটিলতা দূর করে আদা।
আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী। প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে। ওভারির ক্যান্সারের অনেক ভাল প্রতিরোধক।