প্রেমের গল্প :এখানে একটি সুন্দর প্রেমের গল্প দেয়া হলো । এটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে, তাই এখানে এই প্রেমের গল্প টি শেয়ার করলাম। আরো পড়ুন >>>রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প শুধু তুমি
প্রেমের গল্প – প্রেমের অনুভতি
প্রেমেরগল্প – প্রেমের অনুভতি
’’’ প্রেমের অনুভতি আসলেই প্রকাশ করার মত না । সবাই ঠিকই বলে প্রেমে পড়লে মানুষ মাতাল হয়ে যায় । কেইবা আবার স্বপ্নে হারিয়ে দেশ থেকে দেশান্তরে । সত্যি বলতে নিজের মধ্য এমন অনুভতি কাজ করেছে বলেই বিশ্বাস করলাম । আগে আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না । ( love is blind ) অর্থাৎ ভালোবাসা অন্ধ হয় । প্রেমে পড়লে মানুষ অস্থির হয়ে যায় । তেমনি সত্যিকারে একটা প্রেমের গল্প আমি আপনাদের বলবো।
রিয়া নামের এক মেয়ে আমাকে যাদু করেছে এক কথায় আমাকে পাগল করে ফেলেছে তাঁর প্রেমে । হয়তো ভাববেন আমার মত ছেলেকে যে এত দিনে কোন মেয়ে ভাল লাগিনি তবে রিয়াই বা কেন ভালো লাগতে গেলো । ছিল এমন কিছু আমার রিয়ার মধ্যে আছে যা কিনা আমাকে খুবই ভালো লেগেছে যা বলে বুঝানোর মত না।
’’’ রিয়া নাম নিতেই আমার হার্ড বিট এখন আর স্থির থাকেনা । শুরু এখান থেকে প্রেমের গল্প । ওই দিন ছিল বৃহঃপতিবার তারিখ টা ঠিক মনে নেই । হঠাৎ ফুফুদের বাড়িতে যাওয়া কারন বিয়ের প্রোগাম ছিল যদিও আমার যাওয়ার কোন প্লেন অথবা ইচ্ছা কোনটি ছিলনা বললে চলে । যাক তারপর অবশেষে গিয়ে উঠলাম ফুফুদের বাসায় তখনো রিয়া কে দেখতে পেলাম না ।
বিয়ের প্রোগামে তো জানেন অনেক আত্মীয়-সজনরা একত্রিত হয় তেমনটি সবাই একত্রিত হয়েয়ে আমি নিজেও সবার সাথে আনন্দ উপভোগ করছিলাম সাদা মাঠা ভাবে যদিও মনের মধ্যে কোন আনন্দ কাজ করছিল না । যাই হোক রাত যখন এগারোটা তখনই বিয়ের হলুদের ষ্টেজের সামনে যেতেই অনেক মেয়ের মধ্যে রিয়াকে একটু ষ্পেশাল লাগলো আমার কাছে ।
যাই হোক সবাই যখন স্টেজের সামনে এলো তখনই হঠাৎ সবার রাতের খাওয়া বিরিয়ানি সাধারনত বিয়ের প্রোগাম হক অথবা যেকোন ধরনের জন্মদিনের প্রোগাম ইত্যাদি তে আমরা যানি বিরিয়ানি কমন রেসিপি না বললেই নয় বিরিয়ানি আমার ও অনেক ফেবারিট । বিরিয়ানির এক প্লেট আমার হাতেও ধরিয়ে দিল ফুফাতো ভাই ।
প্রেমের গল্প – প্রেমের অনুভতি
খাওয়া শুরু করতেই রিয়া এসে হাজির আমার সামনে ,,,এসে বলে আপনি কি বিরিয়ানি আরো খাবেন ? আমি চাইলে আরো বিরিয়ানি আপনাকে এনে দিতে পারি ,,,,আমিতো ইতিমধ্যেই হা করে রিয়ার দিকে তাকিয়ে রইলাম মুখ থেকে কিছুই বেরোচ্ছে না । রিয়া বললো কি হলো কিছু বলছেন না যে ..? আমি ততক্ষনাৎ বলে উঠলাম না ঠিক আছে কিছুই লাগবে না আমার ধন্যবাদ । রিয়া একটা হাঁসি দিয়ে চলে গেল ।
হঠাৎ খাওয়া শেয় করতে না করতে রিয়া আবার হাজির হল আমার সামনে আমার বিরিয়ানির প্লেটে একটুকরা চিকেন আইমিং মুরগির ঘোসতো দিয়ে বললো এই নিন মুরগির ঘোসতো না খেলে অনেক রাগ করবো কিন্তু । আমি আবারো রিয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে একটা এক্সপ্রেসান দিলাম অর্থা রিয়াকে এটা বুঝালাম আমি অবাক হচ্ছি এই দরনের কার্যকলাপে ।
মনে মনে ভাবছি রিয়াকে একটু অন্যদের থেকে আলাদা ভেবেছিলাম কিন্তু সে দেখছি স্পেশাল না হয়তো তাকে বুঝার ভুল হচ্ছিল কোথাও আমার । যাই হোক আমার কি তাতে এই বলে আমি এক কণোয় বসে মোবাইলে গান শুনছিলাম আমার কিছু পচন্দের গান ।
গান শুনতে শুনতে হঠাৎ দেখি রিয়া আবারো আমার সামনে কি অবাক কান্ড দেখি আমাকে এসে বললো আপনি যে গান গুলো শুনছেন আমার ও এই গান গুলো অনেক ভালো লাগে। আমি বললাম খুবই খুশি হলাম। তা তোমার বাসা কোথায় .? কিসে পড়া-শুনা করছো .? ইত্যাদি অনেক কিছু জানার ছিলো কিছুই জানা হলো না ! তাই মনটা খারাপ ছিলো ।
আসতে আসতে কখন যে রিয়াকে ভালো লাগতে শুরু করলো টেরই পেলাম না । বলতে বলতে বিয়ে শেষ । মনে মনে বললাম কেন যে বিয়ে টা অত তারাতারি শেষ হয়ে গেল এই দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল,,, আমার মত রিয়ার ও মনটা কিন্তু খারাপ মনে হলো না আমি অবাক হলাম রিয়ার মুখে হাঁসি দেখে ,,,
বাকি গল্পটা দ্বিতীয় ও শেষ অধ্যায় বলছি ,,,,,,,,,প্রেমের অনুভতি – ২