শিক্ষণীয় গল্পঃ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম অনেক সুন্দর ও শিক্ষণীয় গল্প। আশা করছি পড়তে পেরে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আরো পড়ুন>>>অনুপ্রেরণার গল্প
শিক্ষণীয় গল্প
রেগে গেলেন,
তো হেরে গেলেন
এক লোক তার brand new গাড়ি পরিস্কার করছিলেন। এই সময় তার ছয় বছরের মেয়ে পাথর হাতে গাড়িটির কাছে যায় এবং গাড়ির এক পাশে পাথর দিয়ে আঁচড়িয়ে কিছু লেখে। লোকটি যখন দেখতে পায় তার মেয়ে গাড়ির গায়ে আঁচড় কাটছে তখন সে রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির হাতে আঘাত করে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ের হাতে একধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি যখন প্রচন্ড ব্যথায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, বাবা, আমার হাত কবে ঠিক হবে? তখন লোকটি নির্বাক হয়ে পড়ে। সে তার গাড়িটির কাছে ফিরে যায় এবং রাগে গাড়িটিকে অসংখ্যবার লাথি মারে। সে তার মেয়েকে কতটা নিষ্ঠূরভাবে আঘাত করেছে তা ভেবে সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং গাড়িটির সামনেই মাটিতে বসে পড়ে। এসময় তার চোখ যায় গাড়িটির যেখানে তার মেয়ে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটেছিল সেখানে। সেখানে লেখা ছিল, বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি’’।
ক্রোধ এবং ভালবাসার কোন সীমা নেই। রাগের মাথায় কিছু করবেন না কখনও,অনুরোধ রইলো।
শিক্ষণীয় গল্প
কুকুর আর তার মালিকের খাবার
এক কুকুর রোজ তার মালিকের কাছে খাবার পৌঁচে দিত। খাবারের ঝুড়ি থেকে আসা চমৎকার সব খাবারের গন্ধে সেই কুকুরের খুব লোভ হতো খাবারগুলো চেখে দেখার। কিন্তু, নিজেকে সব সময় সামলে নিত সে। বিশ্বস্ততার সাথে নিয়মিত সে তার কাজ করে যেত। কিন্তু একদিন পাড়ার সব কুকুরেরা একসাথে তার পিছু নিল। চোখে তাদের তীব্র আকাঙ্খা, মুখ থেকে লোভ ঝরে পড়ছে। সমানে তারা চেষ্টা করতে থাকল ঝুড়ি থেকে খাবার চুরি করে খেয়ে ফেলার।
বিশ্বাসী কুকুরটি অনেকক্ষণ তাদের থেকে পালিয়ে থাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ধাওয়া করে আসা কুকুরগুলো এক সময় এমন ভাবে তাকে ঘিরে ধরল যে সে দাঁড়িয়ে পড়ল। কুকুরগুলোর সাথে তর্ক করে সে বুঝাতে চাইলো যে তারা কাজটা ঠিক করছে না। চোর কুকুরগুলোর ঠিক এটাই চাইছিল। তারা এমনভাবে তাকে বিদ্রুপ করতে রইল যে একসময় সে রাজী হয়ে গেল।
ঠিক আছে তাই হোক, বলল সে, তবে, ভাগাভাগিটা কিন্তু আমি নিজে ঠিক করব। এই বলে মাংসের সবচেয়ে ভালো টুকরোটা সে নিজের জন্য তুলে নিল আর বাকিটা ঐ কুকুরগুলোকে দিয়ে দিল।
শিক্ষাঃ সম্পদের অংশীদার না করে চিরকাল কাউকে দিয়ে সেই সম্পদের ভার বওয়ান যায় না। একদিন না একদিন সেই বঞ্চিত লোক ঐ ভার লুট করে নেবেই।