জীবনের গল্পঃ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম জীবন বদলে যাওয়ার মতো জীবনের গল্প। আশা করছি আপনাদের পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগবে। এই গল্পটিতে শিখার মতো অনেক কিছু রয়েছে যা থেকে অনেক কিছু জানা ও বুঝা যাবে। আরো পড়ুন>>> শিক্ষণীয় গল্প
জীবনের গল্প
বাঁচতে হলে নিজেকে বদলাতে হবে
এক নববিবাহিতা স্ত্রীকে বিয়ের পর পরই তার স্বামীর সাথে চলে যেতে হয়েছিল মরুভূমি অঞ্চলে। ছোট বেলা থেকে সে শহরে বেড়ে উঠেছিল। তাই মরুভূমি তার কাছে অত্যন্ত গেয়ো এবং নিরানন্দ লাগছিল। যেখানে থাকার ব্যবস্থা হল সেটাও তার কাছে মোটেও পচন্দ হলো না। গ্রামের জরাজীর্ণ একটা চালা ঘর, ধূসর মরুভূমি, উত্তপ্ত আবহাওয়া, আদিবাসী প্রতিবেশী। সেখানকার কেউই আদিবাসী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষার কথা বলতে পারে না। প্রচন্ড গরমের মধ্যে সে অসহায় একাকীত্ব সময় পার করতে লাগলো। এরই মধ্যে একদিন তার স্বামী কাজের প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য গ্রামের থেকে দূরে চলে গেল। তখন সে তার মাকে চিঠি লিখে পাঠাল যে, এখানে এই আদি-বন্য মানুষ আর তাদের সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারছে না। তাই সে বাড়ি ফিরে আসছে। কিছুদিন পর তার মা তাকে চিঠি লিখে পাঠালেন। সেটাতে লেখাছিল-
“দুইজন লোক কারাগারে ফটক দিয়ে বাহিরে তাকাল একজন দেখতে পেল কাদা আর অন্যজন আকাশের তারা”
চিঠির এই লাইনেই তার অন্তর্দৃষ্টি খুলে গেল। এবার সে আর পরিবেশকে নয় বরং নিজেকে বদলিয়ে ফেললো। আদিবাসী প্রতিবেশীদের সাথে বন্ধূসুলভ আচরণ শুরু করলো। আপন মনে মরুভূমির সৌন্দর্য আবিস্কার করলো। তার পৃথিবী বদলে গেল। অল্প সময়েই তার কাছে ঐ জায়গা মনে হনে হল এক নতুন জগৎ এক নতুন পৃথিবী। এক নতুন আনন্দলোক।
জীবনের গল্প
সৃষ্টিকর্তার ভয়ই সঠিক পথের দিশারী
একদিন এক জ্ঞানী ডাক্তার এক গ্রামে রোগী দেখতে গেলেন। একজন মুমূর্ষু লোক হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছিলেন। তাকে পরীক্ষা শেষে বের হয়ে আসছিলেন এমন সময় লোকটি ডাক্তারের হাত ধরলো-
“ডাক্তার আমি মৃত্যুকে ভয় পাই। মৃত্যুর পর কি আছে তুমি জানো ?
“ আমি আসলে জানি না ডাক্তারটি জবাব দিল।”
লোকটি বললো,তুমি জানো না ? তুমি কি ধর্ম মানো না ?
ডাক্তার চুপ করে রইলো। এরপর সে মাথা ঘুরিয়ে কেবিনের দরজার দিকে এগিয়ে গেল। দরজা খুলতেই দরজার ওপাশ থেকে ডাক্তারের পোষা বিদেশী জাতের সাদা লোমের কুকুরটা লাফ দিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লো। এসেই আনন্দে তার লেজ চাটতে লাগলো। এবার ডাক্তার তার রোগীর দিকে তাকালো। বললেন-
তুমি কি আমার পোষা কুকুরটিকে দেখেছ ? সে এই ঘরটিকে এর আগে কখনো দেখেনি। সে জানতোও না ভেতরে কি আছে। সে শুধু জানতো ভেতরে তার মালিক আছে। তাই আমি দরজা খোলার সাথে সাথে সে ভেতরে ছুটে আসে, নির্ভয়ে। মৃত্যুর ওপারে কি আছে তা আমিও খুব কম জানি, কিন্তূ আমি একটা ব্যাপার জানি। আমি জানি যে আমার মালিক সেখানে রয়েছেন এবং সেটাই আমার জন্য যথেষ্ট।