ফালগুনের এসএমএসঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো সব ফালগুনের এসএমএস। আশা করছি পড়তে পেরে অনেক ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন>>> বসন্তের কবিতা
ফালগুনেরএসএমএস
ফালগুনের এসএমএস
ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত !! শান-বাঁধানো ফুটপাথে পাথরে পা ডুবিয়ে এক কাঠখোট্রা গাছ কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে। ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।
সময় আমার যাচ্ছে কেটে-
তার আশায় কাল শুনে,
শেষ দেখাটা হয়েছিল
সেই কবেকার ফালগুনে “””!!
আগুন ঝরা ফাগুন বাতাস, আগুন ঝরা ফাগুন বাতাস,,,সাদা ,,,হলুদ,,,নীল,,,সবুজ মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে।
চমকিবে ফাগুনের পবনে,, পশিবে আকাশবানী শ্রবনে,,,চিত্ত আকুল হবে অনুক্ষণ
আমার জীবন থামিয়ে দেইনি,,, তার ভাবনার জাল বুনে,,,সেই আমাকে নিক না খুজে,,এমনি আরেক ফালগুনে।
সময় কিভাবে পার হয়ে যায়। সবার জীবন বসন্তের মত রঙ্গে রঙ্গিন হোক, এই কামনায়।
একটি কবিতা একটি পলাশ, একটি কোকিল, তুমি আর আমি, সব মিলিয়ে আজ বসন্ত।
বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর,
গ্রীষ্মের আগমনে রোদেলা দুপুর !!
বর্ষার আগমনে সাদা কাশফুল,,,
এই দুপুরে তোমাকে দেখতে
মন হলো বেকুল “””””””!!!!!!!
হে বসন্ত, খনিকের মায়ায় যাসনে তুই চলে, যদিও যাবি, যাস তুই আমায় একটু বলে ! যাবার সময় দিস আমায় তোর রঙের একটু খানি ছোয়া। দিবি কি আমায় ?? আমি এই অল্প খানি চাই, সারাজীবন থাকবো আমি তোরই অপেক্ষায়।
আগুন ঝরা ফাগুন বাতাস সহি কি করে সখি রে সখি রে বল না তারে,,,,,
হাজার সুতোয় সুতোয় বোনা সাত রঙের ওই সেই শাড়ি টা ! জড়িয়ে গায়ে যাতে আমার ভালবাসা জড়িয়ে দিলাম এনে ! এসো সামনে এসো বসন্তের এই দিনে !!
কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে। হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে,নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে।
ফালগুনের এসএমএস বার্তা
ফালগুনের এসএমএস বার্তা
তোমার ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে হয়েছি আমি পূর্ণ,
তুমি বিহনে এতদিন আমার হৃদয় ছিল শূণ্য।
শূণ্য হৃদয়ের পূর্ণতায় আজ হয়েছি আমি ধন্য,
আমার পৃথিবী তাই তো আজ পেয়েছে তারুণ্য !!
ফালগুন চলে গেল তবুও ফুটেনি গোলাপ, প্রচন্ড শীতের কুহেলী চাদরে, নগ্ন নৃত্ত নেচেছিল শেষ বারে।
আমার যতো প্রেমের কবিতা লিখেছি তোমায় নিয়ে,,যতো আমার ভালোবাসার গান তুমি আছো সুর হয়ে,,,,
ভাপা পিঠা, মোয়া-নাডু আর পাটিসাপটা সাথে ফ্রি একদম হইচই আড্ডা !!
প্রকৃতিতে প্রাণ জাগে, ফুলে ফুলে আগুন শীত গেল চলে, আজ পহেলা ফাগুন।
প্রেম ফাগুনের হাওয়া যখন লাগে বন্ধূ গায়, উদাস হয়ে যায়রে বন্ধু মন যে তোমার নায় ! মন যে তোমায় ভালবাসতে চায়রে বন্ধু কাছে পেতে চায় !
তোমার পায়ের ধূলো পরে যখন আমার আমার আঙ্গিনায়, ধন্য আমার ভালবাসা ফুল ফোঁটা মন বাগিচায়, আমার বাকি জীবন চায়রে বন্ধু তোমার থাকতে চায় !
তোমার পেছনে ছুটতে গিয়ে হারিয়েছি নিজেকে হঠাৎ থমকে, একটু দম নিয়ে মনে হল আমি কে ??
এই ফালগুনে বুকের ভেতর আগুন আছে এই আগুন ঝরা ফাগুনের প্রতিবাদী শুভেচ্ছা সবাইকে !
ফালগুন নাকি বসন্ত কি নামে ডাকবো তোমায় ? মনে ফাগুন জাগিয়েছো তুমি, বসন্ত হয়ে দিয়েছো মনে দোলা !!
ফাগুনেরই আগুন লাগা বসন্তেরই ক্ষণ,, বলতে পারো কার জন্য উদাস করে মন !!
কার জন্য একলা সময়, কাটছে সারাবেলা, কার জন্যে শুধু শুধু সইছি দুখের জ্বালা !
ফাগুনের ভালোবাসা কোথায় গেলে পাব,, নেইতো কেহ হাত বাড়িয়ে তার কাছে যে যাব !
আবাল-বৃদ্ধ বনিতার প্রাণে লাগে খুশির দোলা, ফাগুনেরই রঙের সাথে চলে হোলি খেলা।
ভালোবাসার জোয়ার ওঠে বসন্তের কূলে, সেই জোয়ারে যুব-যুবতীর প্রাণ ওঠে দুলে !
ফালগুনের চতুর্দিকে রঙিন ফুলের সারি, ফুলের ছড়ায় ফাগুন বনে চোখ ফেলতে নারি !
চোখে চোখে কত কথা কত না ইশারা, দুটি হৃদয় এক হয়ে যায় হয় না কভু ছাড়া !
ফালগুনের এসএমএস ও উক্তি
ফালগুনেরএসএমএস ও উক্তি
ফালগুনের এসএমএস ও উক্তি
ফালগুনের শুরু হয় গুনগুনানী, ভোমরাটা গায় গান ঘুম ভাঙানি – ফররুখ আহমেদ।
আজি এ বসন্ত দিনে বাসন্তী রঙ ছুয়েছে মনে; মনে পরে তোমাকে ক্ষণে ক্ষণে চুপি চুপি নিঃশব্দে সঙ্গোপনে – সংগৃতীত।
সূর্য-ঘড়ি সাত সকালে, ফাগুন রাঙ্গা শাড়ি পড়ে দিন গোনে আজ কার ? বাসন্তিরা সবুজ টিপে, লাল সাদা আর হলুদ পাড়ে – সংগৃহীত
মনের আকাশে ঐ ফাগুন; পিয়াসী পাখি উড়ে যায় সুদূরেতে, কার যেছায়া মাখি – সংগৃহীত
ফাগুনের রঙে রেঙেছো তুমি, না বলা কথা আজ বলবো আমিঃ হৃদয়ের ডাক শুনবে কি তুমি – সংগৃহীত
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত – সুভাষ মুখোপাধ্যায়
ফাগুন, হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ তোমার হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দানঃ আমার আপনহারা প্রাণ; আমার বাঁধন ছেঁড়া প্রাণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; ভরি দিল বকুলের গন্ধে – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফালগুনের বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল। চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরি গায়, বেণুবনে র্মমরে দক্ষিণবায় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে কেটে মামুলি ফালগুনে – হেলাল হাফিজ
বসন্ত এলো এলো এলোরে পঞ্চম স্বরে কোকিল কুহু কুহু কুহু তানে মাধবী নিকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে ভ্রমর গুঞ্জে গুঞ্জে গুনগুন গানে – কাজী নজরুল ইসলাম
হে নবী ! নীরব কেন-ফালগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায় – সুফিয়া কামাল
তোমার প্রজাপতির পাখা আমার আকাশ-চাওয়া মুগ্ধ চোখের রঙিন স্বপন মাখা। তোমার চাঁদের আলোয় মিলায় আমার দুঃখ – সুখের সকল অবসান – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফালগুনের উক্তি কিছু
ফালগুনের উক্তি কিছু
মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে। মধুর মলয়-সমীরে মধুর মিলন রটাতে। কুহক লেখনী ছুটায়ে কুসুম তুলিছে ফুটায়ে, লিখিছে প্রণয়-কাহিনী বিবিধ বরন-ছটাতে (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
আসে বসন্ত ফুল বনে সাজে বনভূমি সুন্দরী; চরণে পায়েলা রুমুঝুমু মধুপ উঠিছে গুঞ্জরি ( কাজী নজরুল ইসলাম )
ফাগুনের নবীন আনন্দে গানখানি গাঁথিলাম ছন্দে; দিল তারে বনবীথি কোকিলের কলগীতি, ভরি দিল বকুলের গন্ধে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
কারও কারও জীবনে বসন্ত নিভৃতে আসে বাইরে প্রকাশ পায় না। তার আমেজে সে নিজেই পুলকিত হয়। ( জন ফ্রেচার )
কখনো বা চাঁদের আলোতে কখনো বসন্তসমীরণে সেই ত্রিভুবনজয়ী, অপাররহস্যময়ী আনন্দ-মুরতিখানি জেগে ওঠে মনে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
কখনো বাগান, কখনো দিগন্ত কখনো শ্রাবণ, কখনো বসন্ত আমি সেই তোমাকেই খুঁজি ( সংগৃহীত )
স্পন্দিত নদীজল ঝিলিমিলি করে, জ্যোৎস্নার ঝিকিমিকি বালুকার চরে, নৌকা ডাঙায় বাঁধা, কান্ডারী জাগে, পূর্ণিমারাত্রির মত্ততা লাগে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
খেয়াঘাটে ওঠে গান অশ্বথতলে, পান্থ বাজায়ে বাঁশি আন্মনে চলে। ধায় সে বংশীরব বহুদূর গাঁয়, জনহীন প্রান্তর পার হয়ে যায়। ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )
বিহুরে লগন মধুরে লগন, অকাশে বাতাসে লাগিল রে চম্পা ফুটিছে চামলী ফুটিছে, তার সুবাসে ময়না আমার ভাসিল ( সংগৃহীত )
হলুদ বরন মেঘলা এ তার যৌবন উছলায় লাল ওরনার আড়াল দিয়া চক্ষু দুটি চায় খোপায় টগর ময়না বুঝি আমায় খুঁজে হায় বসন্তে এ বিহর লগন উত্তাল হয়ি যায়। ( সংগৃহীত )
তাহার নাচ দেখি আমার অঙ্গ অবস হয় ঢোলের কাঠি দুহাত থিকে অপনি খসি যায় জগত জুড়ি বিহর পরব খুসি জে ছড়ায় বসন্তে এ বিহর লগন উত্তাল হয়ি যায় ( সংগৃহীত )
আমাকে পাবে না খুঁজে, কেঁদে কেটে মামুলি ফালগুনে ( হেলাল হাফিজ )
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি- দখিন দুয়ার গেছে খুলি ? বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি ? ফুটেছে কি আমের মুকুল ? দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল ( সুফিয়া কামাল )
এখনো দেখনি তুমি ? ”কহিলাম” কেন কবি আজ এমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুস্পসাজ ( সুফিয়া কামাল )
হেরো পুরানো প্রাচীন ধরণী হয়েছে শ্যামল-বরনী, যেন যৌবন-প্রবাহ ছুটিছে কালের শাসন টুটাতে; পুরানো বিরহ হানিছে, নবীন মিলন আনিছে, নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )