চা আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি জনপ্রিয় পানিয়। চা না খেলে মনে হয় আজকের দিনটা চলবেই না। চা খেলে শরীর আর মন চাঙ্গা থাকে।
আরো পড়ুন>>> রং চা
চা : রচনা
সূচনা : এক জাতীয় গাছের কচি পাতা শুকিয়ে ‘ চা পাতা , তৈরি করা হয় । চা পাতা গরম পানিতে ভিজিয়ে , ছেঁকে দুধ ও চিনি মিশিয়ে পানিয় চা তৈরি করা হয় । চা বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল।
কোথায় ভালো জন্মে : চা-গাছ ঢালু জমিতে ভালো জন্মে । এর জন্যে প্রচুর রৌদ ও বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। পাহাড়ী এলাকায় উর্বর জমি চা চাষের জন্য খুব উপযোগী । সিলেট ও র্পাবত চট্রগ্রামে আমাদের অনেক চা বাগান আছে । বড় জায়গা বিসৃত চা বাগান ভালো চাষাবাদ হয় ।
চাষের নিয়ম : জমিতে সারি করে চা-গাছ লাগানো হয়। গাছের নিয়মিত যত্ন নেয়া হয় । বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ও ব্রাজিলে ভালো চা জন্মে ।
সংগহ পদ্ধতি : চা-গাছ একটু বড় হলে ছেঁটে দেয়া হয় । বছরে তিন/চার বার চা-গাছের কচি পাতা ও কুঁড়ি সংগহ করা হয়। এই পাতা কলের সাহায্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শুকানো হয় । তারপর বিভিন্ন মোড়কে পুরে বাজারে ছাড়া হয়।
উপকারিতা : চা মনকে সতেজ করে । ইহা শরীরের কান্তি দুর করে । তবে অতিরিক্ত চা পান অনেক ক্ষতিকর হতে পারে । অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো না তা আমরা সকলে জানি । প্রত্যেক কিছুরই নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে । চা একটি রপ্তানি যোগ্য ফসল । ইহা আমাদের জন্য বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন করে। চা এমন এক প্রকার পানিয় যা পান করে সকল প্রকার মানুষ কান্তি দুর করে কাজের প্রতি আগ্রহ নিয়ে আসে। চা মানুষের মুখের তৃপ্তি মেটায়। চা রপ্তানি করে আমাদের দেশে অনেক অর্থ উপার্জন করে থাকে। চা বাগান করে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। চা আমাদের দেশের মানুষের জন্য অনেক মূল্যবান। চায়ের গুরুত্ব ও পরিসীমা অনিসীর্কায্য ।
উপসংহার : চা আমাদের শরীরে উদ্দীপনা আনে। আমরা চা দিয়ে মেহেমানদের অভ্যর্থনা করি। চা খেলে কাজে মন বসে। চা খেতে খেতে ভালোই আড্ডা জমানো যায় যা আমাদের দেশের একটা পথা হয়ে গেছে। কাজেই চা আমাদের জন্য সুফলপ্রদ। চা আমাদের জন্য একটি অপরির্হায্য উপাদান ।