কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, অন্যের নিকট কৃতজ্ঞতা আশা করবেন নাঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম জানার মতো শিখার মতো ভালো লাগার মতো কিছু কথা উক্তি ও ষ্ট্যাটাস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, অন্যের নিকট কৃতজ্ঞতা আশা করবেন না। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আশা করছি পড়তে পেরে আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আরো পড়ুন>>> ভুল করলে সঙ্গে সঙ্গে সেচ্ছায় ভুল স্বীকার করে নেওয়া উচিত
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন, অন্যের নিকট কৃতজ্ঞতা আশা করবেন না
কৃতজ্ঞতা একটি সুন্দর শব্দ। এটি একটি অনুভূতি যা আমাদের ব্যক্তিত্বের সমৃদ্ধি ঘটায় ও চরিত্র গঠন করে। আমাদের বিনয়ী করে-অপরের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন মনোভাব সৃষ্টি করে। আমাদের ব্যবহারেই এই মনোভাব প্রকাশ পায়। কৃতজ্ঞতা দান-প্রতিদানের বিষয় নয় কিংবা ভালো কাজের বিনিময়ে কিছু ভালো কাজ করা নয়। দয়া, সহমর্মিতা, ধৈর্য ইত্যাদির ঋণশোধ করা যায় না। কৃতজ্ঞতা আমাদের কি শিক্ষা দেয়? পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। কৃতজ্ঞতা আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সামান্য “ধন্যবাদ” কথাটিও মাধুর্যপূর্ণ হতে পারে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের নিকটের লোকদের এই সামান্য কথাটি বলতেও ভুলে যাই।- যেমন স্ত্রী বা স্বামীকে, আত্মীয়স্বজনদের, বন্ধুদের। চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব গঠন করে এমন গুণাবলীর মধ্যে কৃতজ্ঞবোধে প্রধান। অহংবোধ কৃতজ্ঞবোধকে নষ্ট করে। সহজ সৌজন্যের মনোভাব আমাদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দেয় কৃতজ্ঞতাবোধ ও বিনয় থাকলে বিভিন্ন সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়।
কৃতজ্ঞতাবোধ আমাদের জীবনযাত্রার অঙ্গ স্বরূপ হওয়া উচিত।
জীবনে সে সমস্ত মানুষ ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছেন তাদের কথা চিন্তা করুন। আপনার পিতামাতা, শিক্ষক কিংবা অন্য কেউ যারা আপনাকে সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন। তারা সম্ভবত তাদের কর্তব্য করেছেন-কিন্তু আসলে তারা তার থেকেও বেশি কিছু করেছেন। তারা তাদের সময়, অর্থ, প্রয়াস এবং আরও অনেক কিছু আপনার জন্য স্বেচ্ছায় ব্যয় বা কৃতজ্ঞতাবোধের জন্য নয়। কোনও এক সময় একজন ব্যক্তি বুঝেতে পারবে যে তার ভবিষৎ গঠনের জন্য কতখানি সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছিল। সেই কারণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে কখনও বেশি দেরি হয় না। ভালোবাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন হয়।