আমার একটি বন্যাদুর্গত এলাকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ষ্ট্যাটাস

আমার একটি বন্যাদুর্গত এলাকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ষ্ট্যাটাসঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমার একটি বন্যাদুর্গত এলাকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ষ্ট্যাটাস।

                                                                                                                                আরো পড়ুন>>> চা

আমার একটি বন্যাদুর্গত এলাকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ষ্ট্যাটাসআমার একটি বন্যাদুর্গত এলাকা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ষ্ট্যাটাস

বাংলাদেশ নদী আর বৃষ্টির দেশ। তাই প্রতি বর্ষায় বন্যা একটি নৈমিত্তিক ঘটনা। এটা প্রতি বছর আমাদের দেশের অনেক এলাকায় হয়। কোন কোন বছর এটা ভয়ানক ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে।

কয়েক বছর আগে সর্ম্পূণ বাংলাদেশ বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছিল। তখন এটা একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা দিয়ে যায়। এ এলাকার সমস্ত পরিবার বন্যা আক্রান্ত হয়েছিল। স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছিল। প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী এখানে আশ্রয় নিয়েছিল। তাই এটা জনপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। খাওয়ার পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছিল। আমি দেখেছি অনেক শিশু খাবারের জন্য কাঁদছে। কিছু মহিলা কাঁদছিল এবং তাঁদের জামার অংশ দিয়ে চোখের পানি মুছছিল। তারা সকলেই ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছিল। আমরা একটি যন্ত্রচালিত নৌকার সাহায্যে এক গ্রামে গিয়েছিলাম। আমি অনেক পরিবারকে দেখেছি যারা ছাদের উপর আশ্রয় নিয়েছিল। ছাদে গৃহপালিত প্রাণীও তাদের সাথে ছিল। সেখানে চারদিকে শুধু পানি আর পানি।

আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। তাদের অনেকে আমার সাথে কথা বলার সময় কাঁদছিল। আমি আমার সাথে কিছু শুকনা খাবার এবং চাল নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি এগুলো দরিদ্র লোকদের মাঝে বিতরণ করেছিলাম। তারা খুব খুশি হয়েছিল। আমি বিস্মিত হয়ে গিয়েছিলাম এটা দেখে যে, কিছু পোষা প্রাণী এবং পরিবারের লোকেরা একই ঘরের মধ্যে বাস করছে। তাদের দুর্দশার কোন সীমা ছিল না।

সন্ধায় আমি নিজ বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িটি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় নি, কিন্তু উঠোনটি ছিল জলমগ্ন। আমি আমার মাকে কাঁদতে কাঁদতে প্রার্থনা করতে দেখেছিলাম। আমি এখনও এরকম মহাপ্লাবনের মত ভয়ানক বন্যার দৃশ্য ভুলতে পারি না। মহান আল্লাহ আমাদের লোকদের এরকম বন্যার হাত থেকে রক্ষা করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!