ভূতের গল্প বুভূবাঃ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম আমার জানা সত্যিকারের একটি ভূতের গল্প বুভূবা। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ! আশা করছি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে। আরো পড়ুন>>>> ভূতের গল্প – ভূতের উৎপাত
ভূতের গল্প বুভূবা সত্য
আমি তখন ক্লাস টেনে । গ্রাম থেকে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছি ঢাকায় । ভূতের গলিতে মামা বাড়ি কিনেছেন – চারতলা বিল্ডিং । আমি যখন মামার বাসায় এলাম । তখন মামি খুব অসুস্থ । চার তলায় আমরা থাকি । বাকি ফ্লোর গুলো রং করা হচ্ছে । ভাড়াটে তুলে দেওয়া হয়েছে ।
মামা বলেন কিসের আবার ভাড়াটে ।আমার এতো টাকা খাবে কে ?
মামি শুধু বলেন , আপন আমার কাছে একটু বসে থাক । আমি প্রায় সারাক্ষণই মামির পাশে বসে থাকি ।
বেশি ক্ষণ আবার বসে থাকার সেই ধৈর্য্য আমার নাই । নে ফল খা , আপেল খা , আঙুর খা ।
মামির এমন কথা শুনতে শুনতে আমার কান ঝালাপালা হয়ে গেছে । রোববার দিন। রাত সোয়া বারোটা বাজে মামা লাজ ফার্মাতে গেছেন ঔষধ আনতে । আমি আর মামি বাসায় । মামি একা হাটতে পারেন না । হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিতে হয় ।
একটু টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে । আমি জানালে দিয়ে হাত বাড়িয়েছি । হঠাৎ শাঁ শাঁ করে কিছু একটা উড়ে গেল !
আমি ভয় পেলাম কি ওটা ? বাদুরের মতে মনে হলো । আমি দ্রুত হাত ভিতরে টেনে নিলাম ।
লক্ষ করলাম আমার ডান হাত থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে । বাশমতি চালের যেমন গন্ধ থাকে ঠিক তেমনি একধরনের গন্ধ ।
হাতটা নাকের কাছে নিতেই লক্ষ করলাম হাতের তালুতে লেখা বুভূবা । যেন মনে হলো এই মাত্র কেউ লিখে দিয়ে গেল !!!!
নামতা পড়ার মতো আমার মূখ দিয়ে বের হতে লাগলো বুভূবা বুভূবা ! ঠিক এমনটি । কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না এইটা কি হলো । যাই হোক আমি সেইখান থেকে সরে গেলাম ।
রাত অনেক হলো । ঘুমে ঝিমোনি আসলো ।হঠাৎ চোখটা কখন যেন বন্ধ হয়ে গেল টেরই পেলাম না । হঠাৎ দেখি জানালার পাশ দিয়ে কেউ বলছে দেখ বুভূবা এসেছে । সে তোমাকে কিছু বলতে চায় ।
আমি চোখ খুলতে দেখলাম সামনে দাড়িয়ে আছে অদ্ভত একটা ঝাপসা ছায়া । ভাবলাম চোখে হয়তো এখনো ঘুম আছে !!!!
আসলে ঘুম না । এইটা তো সত্যিকারের ভূত । কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না । ,, ভূতটা শুধু এইটাই বলছিল বুভূবা ,বুভূবা ,,,
এইটা বলে ভূতটা চলে গেল । দেখতে অনেক বিভর্ষ ছিল যার আকৃতি বলে বুঝানোর মতো ছিল না ! সে যেন আমাকে কিছু বুঝাতে চেয়েছে । আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না !!!!
কিছু দিন পর বুঝতে পারলাম আমার মামার বাসাটা ঠিক জায়গায় না । এই জায়গায় ভূতের আস্তানা বা ভূতের আড্ডা খানা ছিল !! ,,,, এর পর আর কখনো ভূতটা আসেনি । হয়তো তাদের ঘাটিটা পরিবর্তন করেছে !