ইসলামিক স্ট্যাটাসঃ প্রিয় পাঠক বন্ধুরা তোমাদের জন্য নিয়ে এলাম ভালো লাগার মতো জানার মতো কিছু ইসলামিক স্ট্যাটাস। আশা করছি তোমাদের কাছে পড়তে পেরে ভালো লাগবে। ধন্যবাদ
আরো পড়ুন>>> ইসলামী উপনাস
ইসলামিক স্ট্যাটাস
*** বছরান্তেও যে ব্যক্তি কোন দুঃখ-বেদনার সম্মুখীন হয় না, তার উচিত ভেবে দেখা যে, আল্লাহ পাক তার প্রতি অসন্তুষ্ট নয়তো। — হযরত আলী (রাঃ)
*** অনেক লোকই দিনে অন্তত পাঁচবার মুখ ধোয়, কিন্তু পাঁচ বছরেও একবার অন্তর ধোয়ার কথা চিন্তা করেনা।— ইবরাহিম আদহাম
*** ছোটদের সঙ্গে সন্তানের ন্যায়, বড়দের সঙ্গে পিতার ন্যায় এবং সমবয়স্কদের সঙ্গে ভাই এর ন্যায় আচরণ করার নামই ন্যায়বিচার।— ইমাম জাফর সাদেক
*** শক্তি দ্বারা যে আনুগত্য লাভ হয় তা ক্ষনস্থায়ী, আর ভালবাসার মাধ্যমে যে আনুগত্য অর্জিত হয় তাই চিরস্থায়ী থাকে।— ইবনে জরীর
*** ইসলামের সেবা এবং আল্লাহর আদেশকে আগামীদিনের জন্য স্থগিত রেখো না।— হযরত আবুবকর (রাঃ)
*** আত্মপ্রশংসাকারীর মতো আহমক নেই, আর বিদ্যার মতো পথ প্রদর্শক নেই।—হযরত আলী (রাঃ)
*** শান্তির সাথে জীবন যাপন করার পরও যে ব্যক্তির আকাঙ্খা মিটে না, তার পক্ষে তৃপ্ত হওয়া সম্ভব না।— হযরত ওসমান(রাঃ)
*** জীবন চলার পথে পড়ে আছে অসংখ্য পাথর। এতে তোমার চলার পথ যেন থেমে না যায়। বরং পাথরগুলো কুড়িয়ে তৈরি কর সাফল্যের সিঁড়ি। (আরবী প্রবাদ)
*** পৃথিবীটা লবণাক্ত পানির মত। যতই তা পান করবে পিপাসা ততই বাড়বে। (আরবী প্রবাদ)
*** আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ুকে চালিত করে আকাশের কাছে নিয়ে যাই, অতঃপর আকাশ থেকে পানি বস্তত তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই— সুরা হিজর:২২
*** অন্যের নিকট হাত পাতার ফলে মানুষের সর্বোত্তম সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যায়, সে হচ্ছে আত্মমর্যাদাবোদ।—হযরত আলী(রাঃ)
*** কোন ব্যক্তি সে পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করবে না, যে পর্যন্ত না তার ভাগ্যে লিখিত শেষ খাদ্যকণাটুকু আহার না করে।—আল হাদিস
*** তোমরা মৃত্যু সম্পর্কে যেমন জান পশু-পাখিরা যদি তদ্রুপ জানতে পারত, তবে মানুষেরা কখনও মোটাতাজা পশু-পাখির মাংস ভক্ষণ করতে পারতে না। (আল হাদিস)
*** ফেরেশতারা মেঘমালা পযর্ন্ত অবতরণ করে এবং সেখানে তারা আল্লাহর নির্দেশসমুহ বাস্তবায়ন করা সম্পর্কে পরস্পর আলোচনা করে। শয়তানরা এখান থেকে গোপনে এগুলো শুনে অতীন্দ্রিয়বাদীদের কাছে পৌছে দেয় এবং তাতে নিজেদের পক্ষ থেকে কাঁড়িকাঁড়ি মিথ্যা ঢুকিয়ে দেয়।—(বোখারী)
*** গোপনে দান-খয়রাত আল্লাহর ক্রোধকে নিবারণ করে। বান্দা গোপনে কোন কাজ করলে আল্লাহ তা গুপ্ত খাতায় লিখে রাখেন। পরে বান্দা যদি তা প্রকাশ করে, তবে আল্লাহ তাকে গোপন খাতা থেকে মুছে প্রকাশ্য খাতায় লিখেন। তারপর বান্দা যদি তার সে কাজের কথা আরও প্রকাশ করে, আল্লাহ তার নাম প্রকাশ্য খাতা থেকে মুছে রিয়ার(লোকদেখানো) খাতায় লিখে দেন। (আল হাদিস)
*** সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দিখে না যে, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম’’(আম্বিয়া:৩০)
*** তিনিই আল্লাহ যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং পৃথিবী সেই একই পরিমানে। (সুরা তারেক:১২)
*** মোমেন বান্দার মৃত্যুর পর কবরস্থান নিজেকে সেই মোমেনের জন্য সজ্জিত করে এবং কবরস্থানের প্রতিটি অংশই চায় যে তার মধ্যে সেই বান্দাকে দাফন করা হউক।- আল হাদীস
*** কোন ব্যভিচার ব্যতিত সত্রীদের তালাক দিও না। কেননা, যে সব নরনারী (বিয়ে করে) কেবল মজা লুটার জন্য, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না। (আল হাদিস)
*** মানুষের উপর এমন একটা সময় আসবে যখন তার ধর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকাটা হাতে জ্বলন্ত কয়লা হাতে ধরে রাখার মতো কঠিন হবে।- (তিরমিযী শরীফ)
*** সৃষ্টি জগতের সকল মানুষই আল্লাহর পরিজন স্বরুপ। তাই আল্লাহর নিকট সেই ব্যক্তি সর্বাধিক প্রিয় যে তাঁর পরিজনদের নিকট অধিক প্রিয়।- (আল হাদীস)
*** কেয়ামতের পূর্বে মানুষ যে সব বিপদের সম্মুখীন হবে, তার মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব সবচেয়ে বড়।- (মুসলিম শরীফ)
ইসলামিক স্ট্যাটাস বাংলা
*** আল্লাহর নিকট কল্যাণ ও বরকত লাভের নিমিত্তে প্রার্থনা না করা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ। -(আল হাদীস)
*** জ্বর-জ্বালা জাহান্নামের উত্তাপের আঁচস্বরুপ। যে মুসলমান দুনিয়াতে জ্বরের তাপ ভোগ করেছে তাহাকে দোযখের উত্তাপ ভোগ করতে হবে না। (আল হাদীস)
*** কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম মানুষকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। বলা হবে : আমি কি তোমাকে সুস্থাস্থ্য প্রদান করিনি, আমি কি তোমাকে ঠান্ডা পানি পান করতে দেইনি ? (তিরমিযী)
*** অসৎ লোকের ধন-দৌলত পৃথিবীতে সৃষ্টি জীবের বিপদ-আপদের কারণ হয়ে দাড়ায়। —হযরত আলী(রাঃ)
*** কৃপন কোনদিন ধন সম্পদের মালিক হতে পারে না বরং ধনসম্পই কৃপনের মালিক হইয়া বসে।—ইয়াহইয়া বারমকি
*** কারো প্রতি ভালবাসায় অন্ধ হওয়া এবং মতবিরোধ হলেই যা-তা সমালোচনা করা নিজের হাতে ঈমান ধ্বংস করার আলামত। —হযরত আলী(রাঃ)
*** কোরআন এমন একটি জানালা, যা দ্বারা আমরা পরবর্তী দুনিয়ার দৃশ্য দেখিতে পাই।—ইবনে হাম্বল
*** আমল বিহীন এলেম অনেক সময় উপকারী হতে পারে কিন্তু এলেম বিহীন আমল কখনও উপকারী হয় বলে আমার জানা নেই।—হযরত ওসমান(রাঃ)
*** নিজের বোঝা যত কমই হোক তা অন্যের উপর চাপাতে চেষ্টা করোনা।—হযরত ওসমান(রাঃ)
*** ব্যক্তি বিশেষের একটি আচরণ দেখেই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না, তার অন্যান্য আচরণ সম্পর্কেও খোঁজ -খবর নিও।—হযরত আলী(রাঃ)
*** সততা এবং ন্যায়পরায়নতা আল্লাহর রাহে কুরবানি করার চাইতেও অনেক বেশী পুন্যের কাজ।—হযরত সোলায়মান(আঃ)
*** দুনিয়াকে যে যত বেশী চিনেছে সে এর দিক থেকে ততবেশী নিষ্গৃহ হয়েছে।—হযরত ওসমান(রাঃ)
*** মানুষের হক সম্পর্কে যে ব্যক্তি সচেতন নয়, সে আল্লাহর হক সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না।—হযরত ওসমান(রাঃ)
*** মানুষের মধ্যে যতগুলি মারাত্মক দোষের সমাবেশ ঘটে, এর মধ্যে কার্পন্য দোষটি উল্লেখযোগ্য।—ইমাম গাজ্জালি(রাঃ)
*** সুস্থ থাকার জন্য হলেও হিংসা পরিত্যগ কর। কারন হিংসা মানুষকে ভিতর হতে গলিয়ে দেয়।—হযরত আলী(রাঃ)
*** ধৈর্য ও নম্রতাই প্রকৃত মহত্ব। যারা এই দুই গুনে গুনান্বিত হবে তারাই প্রকৃত বীর পুরুষ।—হযরত আলী(রাঃ)
*** যে ব্যক্তি গরীব দুঃখীর আর্তনাদ শুনে কান বন্দ করে রাখে, সেও একদিন আর্তনাদ করবে কিন্তু কেউ শুনবে না।—হযরত সোলায়মান(আঃ)
*** প্রয়োজনের সময় মুখ না খোলা অপ্রয়োজনে কথা বলা, সমান দোষের কাজ।—হযরত আলী(রাঃ)