গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়

গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়ঃ গ্যাস্ট্রিক আমাদের বাংলাদেশীদের জন্য খুব সাধারণ একটা রোগ, নিত্য দিনের সমস্যা। আমাদের দেশে এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে যাদের এই সমস্যা নেই। বিষাক্ত ক্যামিকাল যুক্ত শাকসব্জি, ফরমালিন মিশ্রিত মাছ আর কার্বাইড মিশ্রিত ফলমূল খেয়ে আমরা যে ৫০-৬০ বছরের আয়ু নিয়ে বেঁচে আছি এর জন্য পরমকরুণাময়ের নিকট আমাদের শুকরিয়া জানানো উচিত। গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায় জানা উচিত। Read more >>> জন্ডিস থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের যে একটু আধটু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না এমনটা ভাবাই কঠিন। যদিও এটাকে রোগ হিসেবে মানা হয়না, তবে মাঝে মাঝে এটা রোগের থেকেও মারাত্মক আকার ধারণ করতে দেখা চিরতরে এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাবার কোন উপায় নেই। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর কিছু অভ্যাস বদলে ফেললে এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণঃ

১. জিহ্বা সাদা বর্ণ ধারণ।

২. তলপেটে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া।

৩. পেট ব্যাথা করা।

৪. বুক জ্বালা পোড়া করা ।

 

গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়

যা যা লাগবে : ২ টি মাঝারি আকারের গাজর, ১ টি মাঝারি আকারের আলু, ১ ইঞ্চি পরিমাণ আদা।

পদ্ধতি: গাজর ও আলু ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট খন্ড করে নিন। আদা কুচি করে রাখুন। এবার ব্লেন্ডারের দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে জুস তৈরি করে নিন অথবা জুসারে দিয়ে একবারে জুস বের করে নিন। এই পানিয়টি পান করুন নিয়মিত।

১. নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহন করুন। কেননা পাকস্থলীতে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে (অর্থাৎ খাবারের সময়গুলোতে ) এসিড উৎপন্ন হয়। এ সময় পেটে খাবার না গেলে সেই এসিড নিজের দেয়ালেরই ( অর্থাৎ পেটের) ক্ষতি করে।

২. ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেবেন।

৩. শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমান।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

৫. ধূমপান এড়িয় চলুন।

৬. অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না।

৭. বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান।

৮. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা অনেক সময় এসব সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ নেবেন না।

৯. তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে চেষ্টা করুন।খেতে হলে আগে বা পরে পানি খাবেন না। অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি পান করুন।

১০. মাংস,ডিম, বিরিয়ানি, মোগলাই, চায়নিজ খাবার যাই খান না কেন, এই তেলজাতীয় খাবারগুলো দুপুরের দিকে বা দিনের অন্য সময় খান। কিন্ত রাতের খাবারটি যেন হালকা হয়। শাকসবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেন্যু সাজান।

১১. দিনে কিংবা রাতে খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা না করে কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর ঘুমাতে যান।

১২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। এটা শুধু আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাবে না আরো অনেক রোগের হাত থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।

১৩. পেটে গ্যাসের সমস্যা দূূর করার জন্য আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এটি বদ হজম দূর করে থাকে। প্রতিদিন খাবার পর একটুকরো আদা চিবিয়ে খেলে পেটে আর গ্যাসের সমস্যা থাকবে না।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!