এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়

এলার্জি থেকে মুক্তিরউপায়

এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়ঃ কিছু কিছু খাবারে এলার্জির সম্ভাবনা থাকে যেমন: দুধে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে এলার্জি হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে গরুর দুধে গায়ে চুলকানি, হাপানি ইত্যাদিও হতে পারে। এছাড়া ডিম মাছ, বাদাম, কলা, পেয়াজ, রসুন, আপেল, আঙ্গুর, ব্যাঙের ছাতা, তরমুজ, চকলেট, ঠান্ডা পানিয় ইত্যাদি কোন কোন ব্যক্তির এলার্জির সৃষ্টি করতে পারে। একেক খাবারে একেক ব্যক্তির এলার্জি হতে পারে। খাবারে এলার্জির উপসর্গগুলো হল পেটে ব্যথা, বমি বমি ভাব অথবা বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদি।এলার্জি থেকে মুক্তির উপায় জানতে হবে। Read more>>> গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়

এলার্জিজনিত সর্দি বা এলার্জিক রাইনাইটিসঃ

এলার্জিজনিত সর্দি এর উপসর্গ হচ্ছে অনবরত হাঁচি, নাক চুলকানো, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এলার্জি রাইনিইটিস দুই ধরনের হয়। বছরের একটি নিদির্ষ্ট সময়ে এলার্জিক রাইনাইটিস হলে এটা সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস এবং বছরের যেকোন সময় হলে এটা পেরিনিয়াল এলার্জিক রাইনাইটিস।

আর্টিকেরিয়াঃ

আর্টিকেরিয়া রোগে ত্বকে চাকা চাকা হয়, ফুলে ওঠে এবং চুলকানি হয়। অধিকাংশ মানুষের কোন না কোন সময় এই রোগটি হয়ে থাকে। আর্টিকোরিয়া শরীরের কোন নিদির্ষ্ট অংশে সীমাব্ধ থাকতে পারে আবার সমস্ত শরীরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ রোগে প্রচন্ড চুলকানির সাথে বিভিন্ন আকারের লালচে চাকা চাকা ফোলা দাগ হতে পারে।

এজমা বা হাঁপানিঃ

এজমা বা হাঁপানির উপসর্গ হচ্ছে কাশি, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট, ঘন ঘন নিঃশ্বাসের সহিত বাঁশির মতো শব্দ হওয়া বা বুকে চাপ লাগা, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মাঝে মধ্যে ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি।

এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়

এলার্জির কারণে ভুগে থাকেন অনেকেই। এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এলার্জি দূর করতে নানারকম প্রচেষ্টা করেন অনেকেই। সুদ্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না শুধু এলার্জির ভয়ে। যার কারনে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। এটি দূর করা তবু যেন সম্ভব হয় না। তবে একটি উপায়ে মেনে চললে সহজেই আপনি এলার্জিকে দূর করতে পারবেন সারা জীবনের জন্য ।

১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। আধা ঘন্টা পর চামচ ‍দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এর পর থেকে আশা করছি সব ধরনের খাবার খেতে পারবেন আগে যা যা খেতে পারেন নাই।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!