জামের উপকারিতাঃ জাম আমাদের দেশে অনেক পরিচিত একটা মজাদার ফল। সবাই জাম অনেক পচন্দ করে থাকেন। অনেকে লবন দিয়ে জাম বানিয়ে খেতে পচন্দ করেন। আসুন জেনে নি জামের উপকারিতা সমন্ধে। Read more>>> আমলকির উপকারিতা
জামের উপকারিতা
১. স্মৃকি শক্তি প্রখর করেঃ গ্লোকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রূকটোজ রয়েছে যা শরীরে কাজ করার শক্তি জোগায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে। জাম এই স্মৃতি শক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।
২. ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম বিশেষ উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত জাম খাওয়ায় ৬.৫ শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিস কমে গেছে। এটি রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জাম ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ্য রাখে। এক চা চামচ জামের বিচির গুঁড়া প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
৩. ভিটামিন সি এর অভাব জনিত রোগ দূর করেঃ জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যার জন্য এটা দেহের ভিটামিন সির এর ঘাটতি পুরন করে। ভিটামিন সি এর অভাব জনিত রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত করে মাঢ়ির ক্ষয় রোধেও জামের জুড়ি নেই। এতে বিদ্যমান পানি, লবণ ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গরমে শরীর ঠান্ডা এবং শারীরিক দূর্বলতাকে দূর করতে সক্ষম।
৪. হার্ট ভালো রাখেঃ জাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট কে ভালো রাখে। এছাড়া দেহের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌছে দেয়।
৫. ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ জামে কমপরিমাণে ক্যালোরি থাকে, যা ক্ষতিকর তো নয়ই বরং স্বাস্থ্যসম্মত। তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তাদের খাদ্য তালিকায় জাম রাখতে পারেন।
৬. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা তাজা ফল ও সবজি খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামে ওই সকল উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থাকতে সাহায্য করে।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করেঃ জাম মুখেল ভেতর উৎপাদিত ক্যান্সারের সহায়ক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করে।
৮. রক্ত আমাশয় সারায়ঃ জামের কচি পাতার রস ২-৩ চামচ একটু গরম করে ছেঁকে নিয়ে খেলে ২-৩ দিনের মধ্যে রক্ত আমাশয় সেরে যায়।
৯. অরুচি ও বমি ভাব কমায়ঃ জাম খেলে অরুচি ও বমির ভাব কমে।