পিতৃ দিবস

পিতৃ দিবসঃ বিশ্ব বাবা দিবস ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারন করেন। মায়ের পাশাপাশি বাবাকেও সমান গুরুত্ব দেওয়ার জন্য এই দিবসটি উদযাপনের উপর নজর দেওয়া হয়ে থাকে বিশ্বে সকল দেশে।পিতৃ দিবস এর গুরুত্ব অনেক বেশি।              

                                                                                                           আরো পড়ুন>>> মা দিবস

পিতৃ দিবস

পিতৃ দিবস

পিতৃ দিবস

যে ব্যক্তি বাবা মাকে পেল কিন্তু তাদের সন্তুষ্ট করতে পারলো না হাদিসের ভাষায় তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত। কোরআন হাদিসের দৃষ্টিতে বাবা-মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলঃ

বাবা পরিবারের চালিকা শক্তির প্রধান। বাবা সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ বন্ধু ও উত্তম পথপ্রদর্শক। বাবা মা আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। এ পরম সত্য কথা। পৃথিবীতে সন্তানের সুখ, শান্তি, ও নিরাপত্তার কথা শুধুমাত্র বাবা মাই ভেবে থাকেন। এই জন্যই পৃথিবীর সকল ধর্মেই বাবা মাকে সর্বাধিক সম্মান দান করেছেন।

পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫ জায়গায় বাবা মার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহতায়লা বলেন, তোমার পালন কর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত কর না এবং বাবা মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন,তবে তাঁদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে বল শিষ্টাচারপূর্ণ কথা।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবার মর্যাদা সর্ম্পকে বলেছেন, বাবার সন্তূষ্টিতে আল্লাহ তাআলা সন্তূষ্ট হন, আবার বাবার অসন্তূষ্টিতে আল্লাহ অসন্তূষ্ট হন। সে কারনেই ইসলাম বাবা মার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করাকে বড় গুনাহের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

একজন বাবার মাধ্যমে সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তানের জীবনে বাবার অবদান অনস্বীকার্য। কোনো সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিশোধ করতে পারে না। কঠোর শাসন,কোমল ভালোবাসা আর ত্যাগে অগ্রগামী যিনি,তিনিই তো বাবা। বাবারা যেকোন ধরনের দুঃখ-কষ্ট অকাতরে সহ্য করেন।

সব সময় চেষ্টা করেন সামান্য কষ্ট যেনো সন্তানকে স্পর্শ না করে। সন্তানের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সারাজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তারপরও বাবাদের সঙ্গে আমাদের সমাজের অনেকেই খারাপ আচরণ করে থাকেন। এটা ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ; হাদিস বিরুদ্ধ কাজ; কোরআন বিরুদ্ধ কাজ। এ কাজের প্রতি স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে শরিয়তে ইসলামে।

সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.) জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কোনটি ? তিনি বললেন সময়মতো নামাজ পড়া। আমি বললাম তারপর কোনটি ? তিনি বললেন পিতা মাতার সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম তারপর কোনটি ? তিনি বললেন আল্লাহর পথে জিহাদ করা। ( সহিহ বোখারি ও মুসলিম )

এই হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি যে, আল্লাহর তিনটি অতি প্রিয় কাজের মধ্যে একটি হলো বাবা মার সঙ্গে সদ্ধ্যবহার করা। 

জন্মদাতা পিতাকে আমরা বাবা বা  আব্বা বলে ডাকি। সম্বোধন হিসেবে এটা নতুন নয়। পিতা কিংবা বাবার সমার্থবোধক অনেক শব্দ সমাজে প্রচলিত। তবে অঞ্চল ও ভাষাভেদে এর হেরফের অস্বাভাবিক কিছু নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!