স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়ঃ সুস্বাস্থ্য আমাদের সবার কাম্য। কেননা স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। স্বাস্থ্য খারাপ হলে না মন ভালো থাকে, না কোন কাজে মন বসে। একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রত ভাবে জড়িত। আবার এই স্বাস্থ্যই যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয় তখন দেখা দেয় আরেক সমস্যা। অল্পতেই চলে আসে ক্লান্তি। আর স্বাস্থ্য বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয় নানা রকম রোগ বালাই। তাই আমাদের জানা প্রয়োজন স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়। আরো পড়ুন>>> মধুর গুনাগুন ও উপকারিতা
স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
স্বাস্থ্যভালো করার উপায়
১. সুস্বাস্থ্য পেতে গ্রীণ টি পান করুন প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগ মুহূর্তে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করে গ্রীণ টি পান করা যায়। এতে শরীরের মেটাবলিক ও ঠিক থাকে ঘুমের সময় ও ক্যাফেইনের পরিমাণও অতি নগণ্য। এটাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট। যা রাখবে শরীরকে তারুণসুলভ।
২. সুস্বাস্থ্য পেতে হাটাহাটি ও সকালের খাওয়া প্রতিদিন সকাল বেলা ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাটার পর বাসায় এসে নাস্তা করা। অতিরিক্ত তেমন খাবার যেমন ওজন বাড়ার সহায়ক ঠিক তেমনই স্বল্পতায় শরীর দুর্বল হয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য সকালের খাবার বেশ জরুরী।
৩. যাদের হাত খুব ঘামে তারা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে লাউয়ের খোসা হাতে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
৪. যাদের পায়ের গোড়ালি সমস্যা পায়ের গোড়ালি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন এ জায়গায়।
৫. ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ১৫গ্রাম করে মৌরি চিবিয়ে খান। খুব কম সময়ে রক্ত শুদ্ধ হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
৬. হাত পায়ের সৌন্দর্য্য অক্ষন্ন রাখতে হাতে ও পায়ে আপেলের খোসা ঘষে নিন। এতে হাত ও পা অনেক বেশি ফর্সা দেখাবে।
৭. মুখের বাদামি দাগ উঠাতে পাকা পেঁপে চটকে মুখে লাগান,পরে ধুয়ে ফেলুন।
স্বাস্থ্য ভালো করার উপায়
৮. সমপরিমান তুলসী পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে দুই বেলা নিয়মিত মুখে লাগান যেকোন দাগ মিলিয়ে যাবে।
৯. মুখের ব্রণ আপনার সুন্দর্য নষ্ট করে। এক্ষেত্রে রসুনের কোয়া ঘষে নিন ব্রণের উপর। ব্রণ তারাতারি মিলিয়ে যাবে।
১০. সুস্থ্য থাকতে চাই নিয়মিত গোসল, এর যেনো কোন বিকল্প নেই। ঠান্ডা কিংবা গরম গোসল প্রতিনিয়ত করে আমাদের পরিস্কার এবং সতেজ। স্বাস্থ্যগত দিক কিংবা নিয়মিত গোসলের প্রয়োজন অপরিহার্য।
১১. নিম্নরক্তচাপের ক্ষেত্রে ডাবের পানি পান করার ফলে নিম্নরক্তচাপ স্বাভাবিক হয়। ডাবের পানি খাওয়ার ফলে ক্লোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং রক্তের চাপ কে রাখে স্বাভাবিক।
১২. ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য ডাবের পানি কে অনেক ডায়াবেটিস রোগী মিষ্টি ভেবে পান করেনা। তাদের ধারণা ভুল ! ডাবের পানি সম্পূর্ণ সুগার ফ্রি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মোটেও ভীতিকর বা নিষেধাজ্ঞা নয়।
১৩. হাড়কে শক্তিশালী করতে আমরা জানি ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন। তারপরও হাড়ের জন্য পুষ্টির দরকার। ডাবের পানি পানে হাড়ের পুষ্টি হয়।
১৪. হজম ঠিক রাখতে ফাইবার থাকলে দেহে তাহলেই হজমশক্তি ঠিকঠাকমতো থাকবে। আর ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার যা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি ভালো থাকে।