একটা পুটি
একটা পুঁটি কাশছিল
তাই না শুনে একটা শোল
দাঁত কেলিয়ে হাসছিল ।
একটা বোয়াল চান্স নিল
বিরাট বড়ো মুখ বেঁকিয়ে
দুপুর বেলা নাচছিল ।
নাচন তো নয় ছল করে
মনের মধ্যে জট ছিল
খাবে বলেই কাঁপছিল ।
বোয়াল মাছের লম্বা হা
খায় যে ধরে মাছের ছা ’
খাবে বলেই আসছিল ।
পুঁটিরে তুই মুখ বুজে থাক
বোয়ালটা পথ ভুলে থাক-
তোঁর মা জননী ডাকছিল ।
শ্যাওলা ঝোপে বসে বসে
পুঁটির মা যে রাঁধছিল
আর তোকে ভাবছিল ।
সোনারোদে শিমের পাতা
আহা সোনারোদ পড়েছে শিমের পাতায়
রূপারঙা টিনের ঘরের উঁচু মাথায়
তাই বলে কি-
র্সূযমুখি হাসি ছড়ায় চালতা ফুলের শুভ্র রেণু ?
ময়না টিয়ে দোয়েল শ্যামা বাজায় বেণু
পা ভেজানো ধনচে গাছের চিরল পাতা রোদকে নাড়ায়
ঘরের পিড়ার রস শুষে কি উঠোন জুড়ে ছড়িয়ে গেলো
লাউয়ের মাচা
চিকুর চিকুর শব্দে ডাকে মুরগী খাঁচা
বাও দিয়ে যায় কলার পাতা ; থোড়ের ভিতর সম্বাবনা
আউর দিয়ে যায় খালের পাড়ে মাছের পোনা
স্বচ্ছ পানির ভেতর দেখি গাছের পাতার আবছা নাচা
আহা সোনারোদ পড়েছে শিশুর গালে
মেঘনা নদীর পাঁড় ভাঙা চর
কখন আবার উথলে উঠে ঢেউয়ের ফনা তাই মনে ডর
কিন্ত বড়ই গাছের মতোই শক্ত তাদের দুটি বাহু
রুখতে পারে ভয়াল যত হোক না রাহু ।
ইচ্ছে
অনেক রঙ রঙের বাহার-
রঙধনু আর র্সূযমুখী ,
তোমার আমার বন্দু হয়ে
হাসছে দেখো , কত্ত সুখী !
এই যে নদী , বনের পাখিি
আকাশ ভরা র্সূয-তারা ,
চাঁদের আলোয় হাট বসে কার-
ভীড় করে কোনো রূপকথার !
ইচ্ছে নামের ঘোড়ায় চড়ে
তোমরা কিন্ত কেউ
হতে পারো অমনি পাঁখি
কিংবা নদীর ঢেউ !
আঁকতে পারো লক্ষ ছবি
আপন মনের দেয়ালে
রঙধনু আর রঙ তুলিতে
ইচ্ছে নামের খেয়ালে ।
শাওন আসে
শাওন আসে বৃষ্টি নিয়ে
বাংলাদেশে কৃষ্টি নিয়ে
উদলা নায়ে পাল তুলে
রক্ত জবা লাল ফুলে ।
শাওন আসে দৃষ্টি ঝরে
কাশফুলের মিষ্টি ঘরে
অচিন নদের কিনারে
যায় না যারে চিনারে ।
শাওন আসে ঋতুর ভেলা
গোল্লাছুট হরেক খেলা
বর্ষা তার হাত ধরে
জেগে থাকে রাত ভরে ।।