শব্দ দূষণ ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ শব্দ দূষণ অনেক বড় একটি সমস্যা । আমাদের দেশে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর দিক দিন দিন বেড়েই চলেছে । শব্দ দূষনের কারনে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে সকল বয়সি মানুষের ।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ আজ কাল শব্দ দূষণ এক মারাত্মক দূষণ । শব্দ দূষণের কিছু কারন আছে । উচ্চ পিচ ঢালার শব্দ, শিঙ্গার ন্যায় অনবরত শব্দ বা হঠাৎ চিৎকারের শব্দ এর কারণ । এই দূষণের প্রভাব খুব মারাত্মক এগুলো অনেক সময় বধিরতা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, এমনকি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ার কারন ঘটায়। অন্যান্য কিছু কারন ও শব্দ দূষণ ঘটায় । মাইক্রোফোনের ব্যাপরোয়া ব্যবহার , মটর গাড়ীর ইলেকট্রিক হর্ণের উচ্চ শব্দ, বাস, ট্রাক, বিমান, নানা ধরনের আগুন জ্বালানোর শব্দ দূষণ ঘটায় । মাইক, ক্যাসেট ইত্যাদির শব্দ সত্যিই অসহনীয় ।
মানুষকে শব্দ দূষণের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে । যারা শব্দ দূষণ সৃষ্টির সাথে জড়িত তাদের উপর বিধিনিষেধ প্রয়োগ করে শব্দকে যুক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে । অধিক শব্দের ফলে আমাদের ব্রেন ডেবেলপমেন্ট এর কেত্রে অনেক বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে । বিশেষ করে শিশুর মেধা বিকাশে যদি অধিক পরিমাণ শব্দে কানে হতে মাথায় শব্দটা অনেক বেশি পরিমাণ শুনা যায় তাতে করে শিশুর মাথায় জ্ঞান বিস্তারে অনেক বেশি সমস্যা দেখা দিতে পারে । শব্দ দূষণ এখনকার সময়ে অনেক বড় সমস্যা হয়ে দাড়িছে !
শব্দ দূষণ আমাদের দেশে অনেক বেশি পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে । শব্দ দূষণ ঢেকানো আমাদের সকলের প্রয়োজন ।অন্যান্য দেশে শব্দ দূষণের প্রতি নানা বিধ বাধা পৌষণ করেছে এবং দিয়েছে নানা রকম নিয়ম কানুন ও বিধি নিষেধ।
মন্তব্যঃ শব্দ দূষণ সকল দেশেই কম বেশ আছে কিন্তু বাংলাদেশ তথা এশিয়ার মতো দেশ গুলোতে এতো বেশি পরিমাণ শব্দ দূষণ হচ্ছে যা বলে বুঝানো যাবে না। এই শব্দ দূষণের ফলে কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে মানূষের তথা শিশুদের যা না বললেই নয় । মারাত্মক ক্ষতিগস্ত হচ্ছে দেশ এবং দেশের মানুষ । শব্দ দূষণ এর প্রতিরোধ করা খুবই জরুরি । যতো তাড়াতাড়ি শব্দ দূষণ থেকে দেশ এবং মানুষকে হেফাযত করা উচিত । আসুন আমরা এগিয়ে আসি।