২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২৬ মার্চ একটি স্মরণীয় দিন। এটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে আক্ষায়ীত হয়েছে সকল বাঙ্গালী জাতির জন্য এই দিবসের অনেক গুরুত্ব । এদিকে আমরা সেই সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করি যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন বির্সজন দিয়েছেন । আমরা আমাদের বিদ্যালয়ে গত স্বাধীনতা দিবস জাঁকজমকের সাথে উদযাপন করছি । আয়জনের ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকগণ আন্তরিকতার সাথে আমাদের কে সহযোগীতা করেছিলেন । আমরা ২৫ মার্চে আমাদের ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণের প্রতিটি অংশ সবুজ পাতা, পতাকা ও রঙিন কাগজ দিয়ে সাজিয়েছিলাম । শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আসন ব্যবস্থা করা হয়েছিল । আমাদের শরীরচর্চা প্রশিক্ষন ও আরো কয়েকজনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধানে আমরা দফাগুলো ঠিক করেছিলাম ।জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আমরা উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু করেছিলাম । এর ঠিক পরেই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় ও আমাদের ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল সালাম গ্রহন করেন । অতঃপর তারা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে । আমরা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছিলাম । আলোচনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই অংশ গ্রহন করে । প্রকৃত পক্ষে দিনটা ছিল খুবই আনন্দময় !
এই দিনে দেশ স্বাধীন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাদের বীর বাঙ্গালী মুক্তিযোদ্ধারা তারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে এই দেশ কে দিয়েছে নতুন ভাবে বেচেঁ থাকার প্রত্যয় । এই দেশ আমাদের প্রাণের দেশ । আমরা আমাদের দেশে বেচেঁ থাকবো বীরের মত । মাথা উচু করে দাড়াবো আমরা বাঙালী জাতি । আমাদের দেশকে আমরা কখনোই অন্যের অধীনে রাজ্যত্ব করতে দিতে পারি না । বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শিখিয়ে গিয়েছে কি ভাবে বীরের মতো বাচঁতে হবে ।
মন্তব্যঃ বীর মুক্তিযোদ্ধারা শিখিয়ে গিয়েছে কিভাবে আমরা সকলে মিলে মিশে দেশে শান্তি আনতে পারি । একে অন্যের পাশে দাড়াতে পারি । আমরা যদি সব সময় একে অন্যের সাথে কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে চলতে পারি তবে আমাদের দেশ আমাদের হেফাযতে থাকবে কারো সাধ্য হবে না আমাদের এই দেশকে ছিনিয়ে নিতে । এই দেশ আমাদের সকলের ।