যৌতুক ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ যৌতুক নেয়া অনেক বড় অপরাধ যোগ্য কাজ । আমাদের দেশে যৌতুক নেওয়ার প্রথা অনেক বেশি বেড়ে গেছে ।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ যৌতুক একটি সামাজিক অভিশাপ। এটা পুরুষ প্রভাবিত সমাজ থেকে উথিত হয়। সমাজের পুরুষদের একটি অংশ মনে করে যে , যৌতুক নেয়া তাদের অধিকার। বিয়ের সময় জোরপূর্বক কন্যা পক্ষের পিতা মাতা, বা অভিভাবকের কাছ থেকে স্বামী কর্তৃৃক কিছু পরিমান টাকা বা সম্পদ নেয়া হয় এবং সত্যিই কন্যা পক্ষের পিতা মাতা যৌতুকের জঘন্য শিকার গরীব হওয়ার সত্বেও কন্যার পিতা মাতা বরপক্ষের দাবী পূরণ করে। ফলে শিকাররা আরোও গরীব হয়ে যায়। যৌতুক প্রথা শুধু একটি পরিবারকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে না বরং গোটা সমাজকে ও ক্ষতিগ্রস্থ করে। যৌতুক লিঙ্গ বৈষম্যের নিকৃষ্ট উদাহরণ। এটা সমাজের সংহতিকে বিঘ্নিত করে। যৌতুক প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত যে কোন ভাবেই। এসব লোভী অপরাধীদের কে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। এই অপরাধকে উৎপাটন করতে বাংলাদেশ সরকার আইন করেছে। আমি মনে করি মানবাধিকার সংগঠনগুলি এবং এনজিওদের এই অপরাধ বন্ধ করতে এগিয়ে আসা উচিত।
সমাজে এই ধরনের যৌতুক প্রথা চলার কারনে আমাদের মতো গরীব দেশের মানুষ আরো হয়রানীর শিকার হচ্ছে অসহায়গ্রস্থ্য মানুষ গুলো। যৌতুকের এমন প্রথা থেকে আমাদের সকলের উচিত সোজাগ থাকা আর কোন ভাবে যৌতুকের মতো এমন আইন বিরোধী কার্য্যকলাপ থেকে নিজেকে এবং দেশের মানুষ কে বিরত রাখার চেষ্টা করা। আমরা যদি চেষ্টা করি যৌতুকের মতো এমন বাজে প্রথা থেকে দেশকে এবং অভাবগ্রস্থ্য মানুষকে রক্ষা করতে পারি তাহলে ভালো থাকবে দেশ এবং দেশের মানুষ। যৌতুকের প্রথা শুরু হয়েছে আমাদের বাপ দাদার আমল থেকে যার রীতি এখনো চলে আসচ্ছে। যা আমাদের জন্য আমাদের দেশের মানুষের জন্য অনেক বড় ক্ষতিকর দিক। তাই আমাদের উচিত এমন অপরাধযোগ্য প্রথা থেকে সরে থাকা।
মন্তব্যঃ আইন মানতে হবে কঠিন ভাবে। সমাজের সকল লোকের মাঝে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কিন্তু সর্বোপরি মহিলা শিকার যারা তারা সচেতন ও শিক্ষিত হবে নিজেদের অধিকার রক্ষায়।