বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার আনিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ মানব-সভ্যতায় নারীর অবদান কতটুকু? এই প্রশ্নের উওর আজ দ্ব্যর্থহীন, চূড়ান্ত এবং প্রমাণিত। মানবসভ্যতার উন্নতির মূলে রয়েছে নারী ও পুুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ নর এবং নারী একে অপরের পরিপূরক সত্ত্বা। মহান স্রস্টা বিশ্বের আদি মানব এবং মানবীয় আবাস্থল হিসেবে পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। পরবর্তীকালে আদি মানব-মানবীর অবদানেই এ জগতে মানুষের আবাদ হয়েছে। তাই, নর ও নারী একে অপরের পরিপূরক।
সৃষ্টির ঊষালগ্ন থেকেই নারী-কন্যা-জায়া-জননীরুপে সর্বদা নরের পাশে ধেকে প্রেরণা, শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে। দুঃখ-যন্ত্রণায়, বিপদে-আপদে পরম আত্মজনের মতো পাশে বসে সান্ত্বনা ও আশার বাণী শুনিয়েছে। নারী তার স্বভাব সুলভ স্নেহমায়া, সেবা ও যত্ন দিয়ে নরের পাশে না থাকত তাহলে নর কোনদিনই ঘর বাধাঁর স্বপ্ন দেখত না, সমাজ গড়ে উঠত না এবং সভ্যতায়ও বিকাশ লাভ করত না। তাই বলা যায়, নর যদি অস্থি, নারী তার মজ্জা। নর যদি দেহ, নারী তার প্রাণ। উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে তিলে তিলে গড়ে ওঠেছে আধুনিক সভ্যতা।
প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ হোক, বিশ্বের যেখানে যত মহৎকর্ম তা সম্পাদনের পেছনে নরের অনুরূপ নারীরও অবদান রয়েছে। মানুষ এখন একথা দ্বর্থহীনভাবে বিশ্বাস করে যে, মানব-সভ্যতা গড়ার পেছনে নারীর অবদান পুরুষের চেয়ে কিছুমাত্র কম নয়। ফলে নারীর মর্যাদাও পুরুষেরই সম-পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। কাউকে বাদ দিয়ে কেউ একক ভাবে কৃতিত্বের দাবীদার নয়। একের দানে অন্যে পরিপুষ্ট । আর উভয়ের দানে পরিপুষ্ট আমাদের সভ্যতা, জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন-গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর সামগ্রীক অগ্রগতি ও কল্যাণের মধ্যে উভয়ের অবদানই সমান। নর নারী উভয়ের গুরুত্ব সংসার জীবনে যেমন সমান তেমনি ঘরের বাহিরেও এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম । নর ও নারীর উভয়ের সমান মর্যাদা রয়েছে। নর নারীর জীবনের সকল কাজে একত্রিত ভাবে বসবাস করে আসচ্ছে । তাই নর নারীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনিস্বীকার্য।
মন্তব্যঃ প্রকৃতপক্ষে পুুরুষের শৌর্য, বীর্য আর নারী হৃদয়ের সৌন্দর্য , প্রেম, ভালবাসা এ দুয়ের মহিমা একত্রিত হয়েই বিশ্বের সকল উন্নতি সাধিত হয়েছে। নরের পাশাপাশি নারীর ও জীবন গঠার ক্ষেত্রে এই দুই পক্ষের গুরুত্ব সমান পর্যায়ে রয়েছে।