এই জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ মানুষের পেট ভরানো সম্ভব কিন্তু মন ভরানো আদৌ সম্ভব নয়। বিত্তবানদের সম্পদের আকাঙ্কা ও চাহিদা অনেক বেশি। গরিবের ধন কুক্ষিগত করাই যেন তাদের আরো ধনী হওয়ার অন্যতম উপায়।
ভাবসম্প্রসারণঃ যারা পৃথিবীতে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক, তাদের সম্পদ তৃস্না কোনো দিন পরিতৃপ্ত হয় না। তারা যত পায়, তত চায়। তারা দুহাতে সম্পদ সংগ্রহকর্মে লিপ্ত হয়। উন্মত্তের মতো নির্বিচারে সম্পদ-সংগ্রহের সময় তাদের নজর পড়ে দরিদ্রের কানাকড়িতে। পৃথিবী দুঃখী মানুষেরা তাদের সামান্য পুজিঁপাটা নিয়ে জীবনযাপন করে। ধনিকের ঐশ্বর্যের প্রতি তাদের লোভ নেই, রাজার বিলাস-বৈভবের প্রতি তারা উদাসীন। শুধু দুটি অন্নখুঁটি কোনোমতে কষ্ট ক্লিষ্ট প্রাণ বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু ধনিকের অপরিসীম ধনতৃস্না ক্রমাগত স্ফীত হতে হতে একদিন গরিবের পর্ণ কুটিরকে স্পর্শ করে। নানা ছলে, নান কৌশলে কিংবা বল প্রয়োগ করে দরিদ্রের সর্বশেষ সম্বলটুকুও ছিনিয়ে নিয়ে ধনিকেরা নিজেদের সম্পদতৃস্নার আগুনে আত্মহুতি দেয়। এভাবে দরিদ্ররা তাদের সবকিছু হারিয়ে ভিটে-মাটি ছেড়ে হয় পথের ভিক্ষুক, অন্নের কাঙাল। কেউ তাদের হিসাব রাখে না, কেউ তাদের খবর রাখে না।
মন্তব্যঃ যার সম্পদ যত কম তার চাহিদাও কম। অথচ এ জগতে মানুষ ক্রমশই ভুল পথে পা বাড়াচ্ছে।