যে সহে, সে রহে ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাবঃ সহনশীলতা একটি মহৎগুন । জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সহনশীলতার কোন বিকল্প নেই ।জীবনের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে ধৈর্য্য ধরতে হয় না । তাই জীবনের জন্যে সহনশীলতার গুণ অর্জন করতে হবে সর্বাগ্রে ।
সম্প্রসারিত-ভাবঃ জীবন পুষ্প শয্যা নয় । পৃথিবীতে জীবনের চলার পথ কন্টকাকীর্ণ । এখানে প্রতি পদেই রয়েছে বাধা-বিপত্তি ও সংঘাত । এসব বাধা অতিক্রম করতে হলে প্রতিটি মানুষকে হতে হবে পরম ধৈর্য্যশীল ও সহনশীল । এ পৃথিবীতে যারা প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তার মূলে ছিল ধৈর্য্য ও সহিঞ্চুতা । সহনশীলতার ঐশ্বর্যমন্ডিত গুণেই এই পৃথিবীতে বিখ্যাত মনীসীগণ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। এ পার্থিবজীবন প্রতিযোগীতার বিজয়ী এবং জীবন পথের অগ্রসেনা । প্রতিটি ক্ষেত্রে যেকোন কিছুর পিছনে থাকা অনেক বেশী ধৈর্য্য ধারন ক্ষমতা থাকতে হবে তা না হলে আপনি কিছুতেই কোন ভালো অবস্থানে পৌছাতে সক্ষম হবেন না । সকল কিছুর পিছনে রয়েছে ধৈর্য্য ধারন ক্ষমতা । যে যত সহইতে পারে সে তত রইতে পারে আর সেইটা যেকোন কিছুর ক্ষেত্রেই সম্ভব । একটা প্রভাত আছে সোনা যত ফোঢ়ায় সোনা তত খাটি হয় ঠিক তেমনি জীবনে যত বেশী খাটি হতে চান তত বেশী সহনশীলতার অধিকারী হতে হবে আপনাকে ।
মন্তব্যঃ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভের পূর্বসূত্র হল সহিঞ্চুতা।সহিঞ্চুতা মানুষকে সাফল্যের স্বর্ণচূড়ায় পৌছে দেয় । তাই জীবনে সফল হতে হলে আপনাকে হতে হবে অধিক ধৈর্য্যশীলতার অধিকারী ।